অসাধারণ সব পারফরম্যান্স, মন মাতানো বিনোদন, বিজয়ীদের উচ্ছাস আর কারি শিল্পের সংকট নিরসনে জোরালো দাবি নিয়ে অনুষ্ঠিত হল বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭। সব মিলিয়ে বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস আরও একবার জানান দিল কারি শিল্পের অন্যসব আয়োজনের চেয়ে এটি কেন আলাদা।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে সশরীরে আসতে পারেননি। তবে চমক হিসেবে হাজির হয়েছেন ভিডিও বার্তায়। তিনি বলেছেন, 'বৃটেনে কারি রেস্টুরেন্টগুলোর জনপ্রিয়তা এখন আর বিস্মিত হওয়ার মতো কোন ঘটনা নয়। আজ যারা বিজয়ী তারা নি:সন্দেহে বৃটেনের সেরা।'
এসময় তেরেসা মে বিজয়ী রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান। বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডসের প্রতিষ্ঠাতা এনাম আলী এমবিই তার বক্তব্যে বলেন, 'বাংলাদেশ উন্নয়নের জন্য একটি অসাধারণ জায়গা'। তিনি তার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরকালে সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বাংলাদেশ সম্পর্কে উজ্জল ধারণার কথা আরো একবার মনে করিয়ে দেন।
এনাম আলী এমবিই তার বক্তেব্য বলেন, কারি শিল্পের চলমান সংকট নিরসনে ১০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। যেখানে কারি শিল্পের সমস্যা সমাধানের বেশকিছু উপায় বাতলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, এই প্রতিবেদন সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুলে দেবে।
নানা বিভাগে বিজয়ী গোটা বৃটেনের সেরা কারি রেস্টুরেন্টগুলোর উদ্যেক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। কারি শিল্পের নিবেদিত প্রাণ মানুষদের সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি ছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপরে তৈরি ভিডিও চিত্রের প্রদর্শনী।
বিডি প্রতিদিন/২৮ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল