খুলনাবাসীর আয়োজনে গত ২৩ নভেম্বর শনিবার পূর্ব লন্ডনের এনসাইন ইয়ুথ ক্লাবে হয়ে গেল বর্ণাঢ্য এক পিঠা উৎসব। বিকাল ৪টায় আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমিনুর রহমান।
এ সময় আয়োজকদের মধ্যে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন এস এম সিপার, এম ডি মুরাদ, মোহাম্মদ তোবারক হোসেন, সুলতানা শেখ, সাংবাদিক মোহিতুর রহমান বাবলু, ব্যারিস্টার ইমরুল হাসান, শাহীন খুরশিদ, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মাকসুদ আহমেদ সুমন, মোহাম্মদ আসাদ এবং মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
উদ্বোধনের পরপরই সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত।
এরপর আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার কানিজ ফাতেমা, কামরুল হাসান তুষার, আবু সুফিয়ান ঝিলাম, বি এম ওবায়দুল হক আজমীর, রাসেল শাহরিয়ার, মোহাম্মদ এমদাদুল হক চঞ্চল এবং ব্যারিস্টার ফয়সাল জামিল।
আয়োজকরা তাদের বক্তব্যে আগত অতিথি এবং দর্শনার্থীদের শুভেচ্ছা জানান।
এছাড়া, দক্ষিণ অঞ্চেলর এসব ঐতিহ্যবাহী বাহারি পিঠাকে বিশ্বব্যাপী ডেসার্ট এবিং ব্রেকফাস্ট আইটেম হিসেবে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে ধারাবাহিকভাবে তারা কাজ করে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনের জন্য জনপ্রিয় উপস্থাপক ইমাম হোসেনের সাথে আরও ছিলেন উপস্থাপিকা সিমি সিফাত এবিং আনিতা ইসলাম। তাদের মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান বিকাল ৫টা বাজার আগেই জনারণ্য হয়ে পড়ে।
লন্ডনে বসবাসরত বাঙালি কমুউনিটির এক মিলন মেলায় পরিণত হয় উৎসবস্থল। পিঠা স্টলগুলোতে ভিড় সামাল দিতে দায়িত্বরত আয়োজক কমিটির অনেক সদস্যকেও ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় ।
খুলনা তথা দক্ষিণ অঞ্চলের প্রচলিত বিভিন্ন রকমের পিঠাপুলি ছিল উৎসবের মহাআকর্ষণ। এছাড়াও, শাড়ি ও অন্যান্য পোশাকসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিস্থানগুলোর স্টলগুলোতে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়।
পিঠা স্টলগুলোতে বাহারি পিঠার সঙ্গে পরিচিত হবার এবং সেগুলোর স্বাদ নিতে দর্শকদের আগ্রহের কোনও কমতি ছিল না ।
উৎসবে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বো এবং বেথনাল গ্রিন আসনের এমপি রুশনারা আলী, টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের স্পিকার ভিক্টোরিয়া ওবেজ, ডেপুটি স্পিকার আহবাব হোসাইনসহ কাউন্সিলর সাবিনা আকতার, কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান, কাউন্সিলর মঈন কাদরী, কাউন্সিলর ডোরা ডিক্সন।
আগত সকল অতিথি তাদের বক্তব্যে এই ধরণের চমৎকার সুশৃঙ্খল একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য আয়োজক কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠান কমুউনিটির মধ্যকার বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে বলে মত ব্যক্ত করেন ।
আগামীতেও তারা এ ধরনের আয়োজনে সঙ্গে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং এরপর খুলনার সুস্বাদু পিঠা দিয়ে তাদের আপ্যায়ণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান পরিবেশন করেন শিল্পী আফজাল, রুমু, শেফালী, শরীফ, রাজ হাসান, শুভ্র, জীবন, শম্পা দেওয়ান, ইফ্ফাত আরাসহ অনেকে।
পুরোটা সময় সুরের মূর্ছনায় সম্পূর্ণ হলের দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন ব্রিটেনের এই সুপরিচত শিল্পীরা।
নৃত্য নিয়ে আসেন তানিয়া এবং বিভা। আয়োজকদের মধ্যে থেকে রাসেল শাহরিয়ার কবিতা আবৃত্তি করেন। কানায় কানায় পূর্ণ হলের ভিড় সামলাতে আয়োজকদের বেশ বেগ পেতে দেখা যায়। নাচ গান উৎসব আনন্দের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান চলে রাত ৯টা পর্যন্ত ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম