যথাযথ মর্যাদায় গৌরব, প্রাণের স্পন্দন, সকলের প্রাণ প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে পর্তুগালের বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে।
সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী, তৃতীয় সচিব আবদুল্লা আল রাজি ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তেলোনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে দূতাবাসের তৃতীয় সচিব আবদুল্লা আল রাজির সঞ্চালনায় শুরুতে জাতীয় সংগীত, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সভার সূচনা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, এর পর শ্রদ্ধা জানান পর্তুগাল আওয়ামী লীগ, পর্তুগাল ছাত্রলীগ, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতে একে একে পড়ে শুনানো হয় মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র ও প্রতিমন্ত্রীর বানী।
এসময় বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রানা তাসলিম উদ্দিন, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতা জহিরুল আলম জসিম, আবুল বাশার বাদশা, মাঈন উদ্দিন মাস্টার, দেলোয়ার হোসেন, এ্যাড. হাবিবুর রহমান, রনি হোসেন, জাকির হোসেন, পর্তুগাল ছাত্রলীগের বদরুল হোসেন রতন, আনসার আলী, শাহীন দর্জি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ, আর ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
সবশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারবর্গ, ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদ, চার নেতাসহ দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম