ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম বলেছেন, চ্যানেল এস তাদের জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের যে ইতিহাসকে চিত্রিত করেছে এটি বিশাল একটি কাজ। ব্রিটেনের নতুন প্রজন্ম যেভাবে জানবে ইতিহাস, সেভাবে বাংলাদেশ থেকে আসা অতিথিরাও ব্রিটেনে সম্মৃদ্ধ বাংলা কমিউনিটির ইতিহাস জানতে পারবে। চ্যানেল এস-এর এই অনন্য আয়োজন হচ্ছে শেকড়ের কাছে ছুটে চলার একটা প্রয়াস।
ব্রিটেনের অন্যতম জনপ্রিয় ব্রিটিশ বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল এস-এর ১৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি একথাগুলো বলেন। গত ১৬ ডিসেম্বর নানা আয়োজন আর উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের বিজয় দিবস এবং চ্যানেল এর ১৫তম জন্মবার্ষিকী।
নতুন ধাচে ও বড় পরিসরে সাজানো ষ্টুডিও এবং ব্যতিক্রমী চ্যানেল এস স্কোয়ার দেখে অভিভূত হয়েছেন ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অতিথিরা। তারা বলেছেন, চ্যানেল এস কমিউনিটির স্বার্থে অন্যন্য ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি এ পলকে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যে-সংস্কৃতি-প্রকৃতির চিত্র তুলে ধরে আলাদা এক অবস্থানের জানান দিয়েছে।
এবার ব্যতিক্রমী চ্যানেল স্কোয়ার তথা হিস্ট্রি ওয়ালের প্রেজেন্টেশন নিয়ে নতুন সাজে সেজেছে চ্যানেল এস। সবাই যেমন ফুলে ফুলে চ্যানেল এস-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঠিক তেমনি “এট এ গ্লেন্স হিস্টি ওয়াল” ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। অভিভূত হয়েছেন।
পিতা-মাতার হাত ধরে শিশুরাও এসেছিলেন প্রিয় চ্যানেলকে শুভেচ্ছা জানাতে আর মিনি মিউজিয়াম দেখতে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চ্যানেল এস চেয়ারম্যান আহমেদুস সামাদ চৌধুরী জেপি ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল, এমডি তাজ চৌধুরী বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠন সংস্থার কাছ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। তুলে ধরেন চ্যানেল স্কোয়ারের তাতপর্য।
বাংলাদেশের বিজয় দিবস আর চ্যানেল এস এর ১৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিকেলে ৩টা থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত চ্যানেল এস-এর নতুন ষ্টুডিও তথা উৎসব মঞ্চে ছিল ভিন্ন ভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠান। সব শেষে হয় অফিশিয়াল সেলিব্রেশন।
হেড অব প্রোগ্রামস ফারহান মাসুদ খানের উপস্থাপনায় চ্যানেল এস চেয়ারম্যান, ফাউন্ডার শিশুদের পাশাপাশি লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মোনা তাসনিমকে নিয়ে ১৫ বছর পূর্তির বিশাল কেক কাটেন।
এসয় হাউস অব লডস এর একাধিক সদস্যসহ বিশিষ্টজন অংশ নেন। বাংলাদেশ ক্যাটারাস এসোসিয়েশসন বিসিএ, ইউকে বিসিসিসিআই, চেম্বার অব কমার্স,বিবিসিএ, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব,বাংলাদেশ সেন্টার, জিএসসি, বাংলাদেশ ম্যাডিক্যাল এসোসিয়েশনসহ শতাধিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ চ্যানেল এসকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তারা কমিউনিটির কল্যানে এই টেলিভিশনের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
এছাড়াও বাংলাদেশের এবং বৃটেনের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও এসেছিলেন চ্যানেল এসের প্রতি ভালোবাসার জানান দিতে। চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদুস সামাদ চৌধুরী জেপি বলেন, ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষেল ভালোবাসাই জানান দেয় চ্যানেল এস এর অবস্থান। আগামী দিনগুলোতে চ্যানেল এস নতুন প্রজম্মের টেলিভিশন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।
চ্যানেল এস এর ফাউন্ডার মাহী ফেরদৌস জলীল জানান, ওয়ার্কিং ফর কমিউনিটির পাশাপাশি, ব্রিংগিং জেনারেশন টুগেদার-এই স্লোগান নিয়ে চ্যানেল এস আগামীর দিনগুলোতেও সময়ে সাথে চলবে মানবতার পাশে থাকবে-থাকবে কমিউনিটিকে দিক নির্দেশনা দেয়ার প্রধান প্লাটফর্ম হিসেবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ