যুক্তরাজ্যে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবাদের মামলায় ২৮ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ বাংলাদেশিকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
এই সপ্তাহে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উবার চালক মোহিসুন্নাহ চৌধুরীর বিচার শুরু হয়।
এর কয়েক বছর আগে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের কাছে অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল সে। পরে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জামিনে মুক্তি পান মোহিসুন্নাহ।
প্রসিকিউটররা উলউইচ ক্রাউন আদালতকে জানিয়েছেন, মহিসুন্নাহ ইসলামের জন্য শহীদ হওয়ার স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ এবং বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী প্রচারকদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে।
প্রসিকিউটর ডানকান অ্যাটকিনসন বিচারককে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর হামলায় অংশ নিতে আগ্রহী মহিসুন্নাহ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, মুহিসুন্নাহ মাদাম তুসোর জাদুঘর, গে প্রাইড প্যারেড ও লন্ডনের পর্যটনবাহী বাসে হামলা পরিকল্পনা করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও এমনকি ভ্যান ব্যবহার করে অমুসলিমদের মৃত্যু ও ভোগান্তি সৃষ্টিই ওই ব্রিটিশ-বাংলাদেশির উদ্দেশ্য ছিল।
২০১৭ সালের আগস্টে বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে পুলিশ বোলার্ডের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালায় মোহিসুন্নাহ। আর সে সময় তার কাছে থাকা ছুরি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় দুই পুলিশ কর্মকর্তা জখম হয়। পরে ওই ব্যক্তি আদালতে দাবি করে, তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর কোনও ইচ্ছা ছিল না। তদন্তে তার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় গত বছর জামিনে মুক্তি পায় সে।
সম্প্রতি আদালত ওই ব্যক্তির আগের এসব ঘটনা শুনেছে। বর্তমানে মোহিসুন্নাহ ও তার ২৫ বছর বয়সী বোন স্নেহা চৌধুরীর বিচার চলছে। ভাইয়ের হামলা পরিকল্পনা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে স্নেহার বিরুদ্ধে বিচার চলছে।
স্টকল্যান্ড ইয়ার্ডের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ডের তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের জুলাইয়ে লুটন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আশা করা হচ্ছে, এই মাসের শেষের দিকে তাদের বিচারকাজ শেষ হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল