কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমাদ হাসান আল হাম্মাদির সঙ্গে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন বৈঠক করেছেন। আজ সকালে এ বৈঠকে বাংলাদেশ-কাতারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারে চার লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। করোনা মহামারির সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রদূত কাতার সরকারকে ধন্যবাদ দেন। দু দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে কাতারে বাংলাদেশি কমিউউনিটির স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত আলোচনা করেন।
কাতারের পররাষ্ট্র সচিব নানাক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবদানের প্রশংসা করেন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন। এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ হতে আরও দক্ষ কর্মী এবং পেশাজীবী নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আটকা পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাতারে প্রত্যাবর্তনসহ অন্যান্য বিষয়ে কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র সচিবকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশ-কাতার বাণিজ্য সম্পর্ককে দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্বিতীয় অন্যতম ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পররাষ্ট্র সচিব বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দু-দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে সমর্থন জানান।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠান, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাতার সরকারের অব্যাহত সমর্থন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাম্বাডেসর খালিদ ইব্রাহিম আল-হামার এবং দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক) মো. মাহবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ