বাংলাদেশ দূতাবাস মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীকে উন্নত ও আধুনিক উপায়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোর্শেদ আলম খাস্তগীর। তিনি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্বেও নিয়োজিত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়া নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া দূতাবাসের সবাইকে আরো অধিক শ্রম দিয়ে সহজে ও দ্রুত প্রবাসীদের সকল সেবা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন বলেও সাংবাদিক নেতাদের জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো ন্যূনতম ১৮ মাসের মেয়াদ সম্বলিত পাসপোর্ট। এই কর্মসূচিতে অংশগহণ করতে ইচ্ছুক এবং উপযুক্ত বাংলাদেশিদের শেষ সময়ে তাড়াহুড়া করে পাসপোর্টের আবেদন না করে আবেদন ডাকযোগে হাইকমিশনে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের নিয়ম-কানুনের মধ্যে দূতাবাস ডাকযোগে পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ, অনলাইনে ডেলিভারি স্লিপ নং পাওয়া এবং অনলাইনে পূর্ব এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পাসপোর্ট গ্রহণের নিয়ম চালু করেছে, যা ইতিমধ্যে সাধারণ বাংলাদেশিদের প্রশংসা পেয়েছেন।
ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, এই সেবাকে আরো উন্নত ও দ্রুত করার জন্য অর্থাৎ আবেদনকারীর নিকট পাসপোর্ট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, যা শিগগিরই অবহিত করা হবে।
রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি সুবিধা যাতে ঠিকমতো পায় এজন্য দূতাবাস থেকে ব্যাপক প্রচার শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হবে, যাতে সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারে এবং প্রতারণা থেকে রক্ষা পায়। না জেনে-বুঝে আর্থিক লেনদেন করা থেকে বিরত থাকতেও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়ায় দক্ষ, পরিশ্রমী ও আন্তরিক হিসেবে সুনাম কুড়ানো বাংলাদেশি কর্মী ভাইদের জন্য এই বৈধতার সুবিধা সংক্রান্ত সেবা ও তথ্য প্রদান করবে দূতাবাস। এজন্য নিয়মিত মনিটর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একইভাবে সম্মানিত প্রবাসীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত ফিডব্যাক অনেক কাজে দেবে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসকল বিজ্ঞ দক্ষ এবং সফল ব্যক্তিত্ব আছেন তারা উপযুক্ত পরামর্শ দেবেন এবং পাশের প্রবাসীর খোঁজ-খবর রাখবেন।
এ ছাড়া চলমান বৈশ্বিক মহামারির সময়ে মালয়েশিয়া সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য সকলকে আহ্বান জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর (শ্রম) মো. জহিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) মো. মাসুদ হোসাইন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রুহুল আমিন।
রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি নিয়ে দ্রতই হাইকমিশন হতে বিস্তারিত গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। ইতমিধ্যে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে সতর্ক করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আলোচনায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়া সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রবাসীদের চলমান পরিস্থিতির সকল সমস্যা তুলে ধরেন ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে এবং একটি স্বারকলিপিও প্রদান করা হয় প্রবাসীদের পক্ষ থেকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমাদুল করির, সাধারণ সম্পাদক বশীর আহমেদ ফারুক,
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হিরণ, সহ-সভাপতি আশরাফুল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরিফুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনিরুজ্জামান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম এ আবির, সদস্য মো. জাকির হোসেন ও মেহেদী হাসান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই