নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে অবস্থিত লং আইল্যান্ড জুইশ হাসপাতালের নার্স সান্দ্রা লিন্ডসকে টিকা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভ্যাকসিনের যাত্রা। ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেন ড. মিশেল চেস্টার। সোমবার সকালে টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এ দৃশ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে স্টেট গভর্নর এ্যান্ড্রু ক্যুমো বলেন, এই ভ্যাকসিন হচ্ছে মানবতাকে অশুভ শক্তির আক্রমণের রক্ষাকবচ, যার মধ্যদিয়েই চলমান করোনা-বিরোধী যুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটবে। প্রেসব্রিফিংকালে গভর্নর অত্যন্ত উৎফুল্লচিত্তে আরো উল্লেখ করেন, এটি হচ্ছে করোনাকে প্রতিরোধে শুভ সূচনা, যা হবে করোনা মহামারির শেষ অধ্যায়। তবে আমাদের সকলকেই এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পর নার্স সান্দ্রা বলেন, অন্য ভ্যাকসিনের চেয়ে এটির আলাদা কোন কষ্ট অনুভব করিনি। আমি সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, এটি অত্যন্ত নিরাপদ একটি ভ্যাকসিন। ভয়ের কিছুই নেই। যন্ত্রণাও হয়নি প্রয়োগের সময়। এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের মিনিটখানেক পরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটে বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। অভিনন্দন ইউএসএ।’ উল্লেখ্য, আমেরিকাতে সোমবারই ফাইজার ও বায়ো এন টেকের ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। শুরু হয়েছে সর্বত্র তা প্রয়োগের কর্মসূচিও। ‘নিউইয়র্কে ভ্যাকসিন প্রদানে গড়িমসির হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ কারণে স্টেট গভর্নর সেই হুমকিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সবার আগে নিউইয়র্কেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজটি করলেন। ঠিক গত ৩ নভেম্বরের ব্যালট যুদ্ধের মতো’- মন্তব্য রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণের। গভর্নর বলেছেন, এই স্টেটে প্রথম দফায় এক লাখ ৭০ হাজার ভ্যাকসিন আসার কথা। এরমধ্যে ৭২ হাজার দেয়া হবে নিউইয়র্ক সিটিতে। প্রথমবার গ্রহণের তিন থেকে চার সপ্তাহ পর পুনরায় ভ্যাকসিন নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক