নাইজেরিয়ায় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার আবুজায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন মিশনের কনফারেন্স এ সভা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত বছরব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সভা হয়।
আলোচনায় ন্যায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক বিশ্ব বিনির্মাণে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক উন্নত সমাজ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষা ও দূরকল্পের ওপর আলোকপাত করা হয়। আলোচনায় আবুজা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট, আবুজা ট্রেড সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. সোমাডিনা আনেনে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব এবং ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মন, নাইজেরিয়ান-বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন হামিদু উসমান জাফেজি এবং নাইজেরিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট বব এম. আচানিয়া অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রায় একশত অতিথি উপস্থিত ছিলেন, যার অধিকাংশই চেম্বার নেতা, সিইও, উদ্যোক্তা ও সাংবাদিক।
উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষা ছিল সমতাভিত্তিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে প্রতিটি দেশের নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর তাদের সার্বভৌম অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বনেতাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক সংকট দূর করার লক্ষ্যে আস্তর্জাতিক অধিকার, সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু শোষণহীন ও বৈষম্যহীন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, কৃষি সংস্কার, শিল্প অর্থনীতি, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যমূলক সম্পর্কের ওপর প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
ড. সোমাডিনা আনেনে প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেননি, আফ্রিকাসহ পুরো বিশ্বের নির্যাতিত ও বঞ্চিত জনগণের সংগ্রামকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নির্যাতিত-বঞ্চিত জনগণের পাশে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু মানবজাতির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ন্যায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চেয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ