দুই হাজার ডলারের করোনা-স্টিমুলাস চেক থেকে স্বল্প আয়ের আমেরিকানদের বঞ্চিত করার জন্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী ভাবছেন ৬২% আমেরিকান।
প্রগতিশীল থিঙ্কট্যাংক ‘ড্যাটা ফর প্রগ্রেস’ পরিচালিত জাতীয়ভিত্তিক এক জরিপ রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ১১৬৬ জন ভোটারের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৭% সরাসরি রিপাবলিকান সিনেটর আর কংগ্রেসম্যানদের দায়ী করেছেন। আর ১৫% অভিযুক্ত করেছেন ট্রাম্পকে দরকষাকষির সময়েই দুই হাজার ডলার করে চেক ইস্যুর প্রসঙ্গ উত্থাপন না করায়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীরা উল্লেখ করেছেন, ৭ মাস যাবত এমন একটি বিল পাশের জন্যে ট্রাম্পের পক্ষে ট্রেজারি মুনুশিনের সাথে বৈঠক করেন ডেমোক্র্যাটরা। সে সময় ডেমোক্র্যাটরা আবারও মাথাপিছু (যাদের বার্ষিক আয় ৭৫ হাজার ডলারের কম) ১২০০ ডলারের স্টিমুলাস চেক এবং বেকার ভাতা সপ্তাহে ৬০০ ডলারের দাবি জানান। এমন দাবির সমর্থনে ডেমক্র্যাটরা গত ১৫ মে প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিলও পাশ করেছিলেন। সে সময় থেকেই রিপাবলিকানরা বেকার ভাতা ও স্টিমুলাস চেক নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। অথচ একটি বারের জন্যেও ট্রেজারি সেক্রেটারি উল্লেখ করেননি, ট্রাম্প মাথাপিছু দুই হাজার ডলারের চেক ইস্যুর পক্ষে।
জরিপে অংশগ্রহণকারিদের ৩২% দোষ দিচ্ছে কংগ্রেসনাল ডেমোক্রেট ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলসিকে। তারাও চেষ্টা করেননি দুই হাজার ডলারের চেক প্রদানে। এই জরিপে দেখা গেছে, ৮১% এখনও দুই হাজার ডলারের স্টিমুলাস চেকের পক্ষে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, জর্জিয়ায় রানঅফে দুটি সিনেট আসনেই ডেমোক্র্যাটরা বিজয় পেলে দুই হাজার ডলারের স্টিমুলাস চেক ইস্যুতে বাইডেনের কোন বাধা থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা