৮০তম জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। ২৬ জানুয়ারি ২০২১ রাজনীতিক সুলতান শরীফ পা রাখলেন ৮০তে। তার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ভার্চুয়াল সভার।
ভার্চুয়াল সভার আয়োজক ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ও তার স্ত্রী সৈয়দা রেখা ফারুক। পুরোটা আয়োজনজুড়ে ছিল শ্রদ্ধার পরশ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চার সদস্য সুলতান শরীফকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভার্চুয়াল জুম মিটিংয়ে অংশ নেন।
বিকাল ৩টা থেকে শুভেচ্ছা জানাতে একে একে হাজির হন বঙ্গবন্ধুর নাতনী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা বিশিষ্ট অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বঙ্গবন্ধু মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে সিআরআই-এর ট্রাস্টি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, শেখ রেহানা কন্যা আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী। তারা সুলতান মাহমুদ শরীফকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পক্ষ থেকে সুলতান শরীফের বাসায় জন্মদিনের কেক, ফুল ও কার্ড পাঠানো হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকেও হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সুলতান মাহমুদ শরীফের বাসায় কেক ও ফুল পাঠান।
ভার্চুয়াল সভায় সুলতান শরীফের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, সাংবাদিক সারওয়ার কবির। সভায় ব্ক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী, আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, পেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল ফারুক খান এমপি, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্ম-সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী হিমাংসু গোস্বামী, শাহনাজ সুলতানা সুমি। সভায় ব্ক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্ক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন, অধ্যাপক আবুল হাশেম, সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, হরমুজ আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দীন রিয়াজ, যুগ্ম-সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মিয়া, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মাসুক ইবনে আনিস, প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, জনসংযোগ সম্পাদক রবিন পাল, মানবাধিকার সম্পাদক সারব আলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মিসবাউর রহমান মিসবাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আসম মিসবাহ প্রমুখ।
সুলতান মাহমুদ শরীফেরর পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তার ভাগিনা, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান খান, ভাতিজি তাসনিমা পলাশ।
সুলতান মাহমুদ শরীফকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী খালেদা মোস্তাক কোরেশী, সহ-সভাপতি হোসনে আরা মতিন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য আশরাফুল ইসলাম, লন্ডন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ময়নুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আমিনুল হক জিল্লু, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ খান, সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক, যুগ্ম-সম্পাদক জামাল খান, জুবায়ের আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল খান, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মনজু, যুক্তরাজ্য কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ তারেক আহমদ, যুক্তরাজ্য তাঁতী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিয়া স্নিগ্ধা।
কার্ডিফ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মকিস মনসুর, কভেন্ট্রি আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকাদ্দেস আলী, বাৃমংহাম আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুশ শুকুর, আওয়ামী লীগ নেতা আহবাব মিয়া, ওয়েস্ট লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান প্রমুখ। ভার্চুয়াল সভায় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা নজরুল ইসলাম লতিফি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সুলতান মাহমুদ শরীফের অবদান অনেক। ২০১১ সাল থেকে তিনি সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ব্রিটেনে বাঙালি কমিউনটির একজন অভিভাবক হিসেবে তাকে সব সময় পাশে পেয়েছে কমিউনিটি। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ অর্জনগুলোর সঙ্গে সুলতান মাহমুদ শরীফ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিলেতে বাঙালি কমিউনটির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি একজন দিক-নির্দেশক ও কান্ডারি হিসেবে আলোর পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন।
দেশ ও জাতির প্রতিটি আন্দোলনে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। স্কুলজীবনেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ইকবাল হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৬৩ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় লন্ডনে একজন ছাত্রনেতা হিসেবে সামনের কাতারে ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে তার ভূমিকা ছিল অনন্য।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে আরও অনেকের সঙ্গে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে গিয়েও স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা হলে শেখ ফজলুল হক মণি যুবলীগের চেয়ারম্যান হন, সুলতান শরীফ সেই কমিটির সেক্রেটারিয়েটের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে যুবলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্যেরও দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত প্রিয় ও কাছের লোক ছিলেন সুলতান মাহমুদ শরীফ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত