প্রতি বছরই তিন জাতির দেশ মালয়েশিয়া (মালয়, তামিল, চায়নিজ) ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে চায়নিজ নিউ ইয়ার পালিত হয়। এ দিনটিতে শহর, বিপণিবিতান ও বাড়িগুলোকে সাজানো হয় চায়নিজ বিশেষ লাল কাপড়ের রঙিন সাজে। তবে এবারের চায়নিজ নিউ ইয়ারে কিছুটা সাজ সাজ রব থাকলেও থাকবে না বড় কোন উৎসব। করোনার প্রতিরোধে পর্যটন নগরী মালয়েশিয়ায় বর্তমানে চলছে লকডাউন।
চন্দ্র বর্ষের প্রথম দিনটিকে চীনারা নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকে। এই উৎসবকে বলা হয় 'চুন জি'। চীনারা তাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে। বর্ষপঞ্জি অনুসারে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনাদের নতুন বছর শুরু হচ্ছে। চীনাদের নববর্ষ আর বসন্ত দু’টোই আগমন হয় একই সময়ে।
মালয়েশিয়া জুড়ে করোনার ব্যাপকতার কারণে এ বছর সরকার কর্তৃক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতিতে কেবল একই ছাদের নীচে বসবাসকারীদের মধ্যে চন্দ্র নববর্ষ উদযাপন করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে পুনর্মিলনী রাতের খাবার এবং প্রার্থনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বর্ষবরণের প্রথম রাত থেকে শুরু করে প্রায় এক সপ্তাহজুড়ে পুরো মালয়েশিয়ার রাতের আকাশ আলোয় আলোকিত থাকতো আতাশবাজির ঝলকানিতে। সিংহ নাচ, ফানুস মিছিল, চিংগাই, অপেরা এবং অন্যান্য মঞ্চ অনুষ্ঠানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই উৎসবটিতে বহুল প্রচলিত উপহার কমলার দেখা মিললেও সুপার শপগুলোয় চলমান এমসিও'র (মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার) কারণে ব্যবসায়িক মন্দার জন্য সম্ভব হচ্ছে না। তাই অনাড়ম্বর পরিবেশে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পালিত হবে চায়নিজ নিউ ইয়ার।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির