মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
মালয়েশিয়া সরকারের বিধিনিষেধের কারণে এ বছরও শুধুমাত্র অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি দূতাবাসের ফেসবুক পেজে লাইভ প্রচার করে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় হাইকমিশন চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি এবং শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশ নেন।
পরে হাইকমিশনের হলরুমে আয়োজিত ভাষা দিবসের আলোচনা সভায় কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন শ্রম মিনিস্টার মো. নাজমুস সাদাত সেলিম। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর বাণিজ্যিক মো. রাজিবুল আহসান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দ্বিতীয় সেক্রেটারি পলিটিকাল রেহেনা পারভিন। আলোচনা সভায় হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও জীবন দেওয়ার ইতিহাস একমাত্র বাঙালি জাতিরই আছে। এই ভাষা সংগ্রামের অর্জনেই লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি অর্জন করে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর