ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত ডা. মোহাম্মদ ইমরান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন-অভিযাত্রার সঠিক তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে বহুজাতিক যুক্তরাষ্ট্রে তথা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের ইমেজ আরো সমুন্নত করা সম্ভব। এছাড়া কন্স্যুলার সেবা নিতে আসা প্রবাসীরা যদি কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন সে তথ্যও সবিস্তারে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে তা সমাধানের পথ সুগম হবে।’
শনিবার অপরাহ্নে নিউইয়র্ক কন্স্যুলেটে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এনআইডি ইস্যু কার্যক্রম বহির্বিশ্বে চালু হলে অবশ্যই তা যুক্তরাষ্ট্রেও চালু হবে। যেসব প্রবাসী নানাবিধ কারণে দেশে যেতে পারছেন না তাদের কথা অবশ্যই সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।’
মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত ইমরান অকপটে স্বীকার করেন যে, ‘বৈধপথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে যত রেমিট্যান্স হচ্ছে, তার সমপরিমাণ যাচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। হুন্ডিতে পাঠানো অর্থ জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে যেমন সক্ষম হচ্ছে না, একইভাবে ওই অর্থে বৈধভাবে কোনো স্থাপনা নির্মাণ/ব্যবসা পরিচালনাও সহজ হয় না।’
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন রাষ্ট্রদূত ইমরান। তারপর এটাই তার প্রথম মতবিনিময় নিউইয়র্কের গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণে সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে ননতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচিতি উপস্থাপন করেন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিজ অফিসে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূতের পাশে ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) সাজ্জাদ হোসেন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূর এলাহি মিনা।
সবশেষে রাষ্ট্রদূত কম্যুনিটির বিশিষ্টজনদের সাথেও নানা ইস্যুতে মতবিনিময় করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট, লসএঞ্জেলেস ও ফ্লোরিডা কন্স্যুলেটের সাথে সর্বস্তরের প্রবাসীদের বিদ্যমান সম্পর্কের আরো উন্নতি ঘটিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থে মার্কিন রাজনীতিকদের সহায়তার দিগন্ত আরো প্রসারিত করতে চাই। এক্ষেত্রে সিটিজেনশিপ গ্রহণকারী প্রত্যেক প্রবাসীর সরব ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ