জর্জিয়ার সিনেটর শেখ রহমান বলেছেন, আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারি সন্তানদের বাংলা ভাষার সাথে পরিচিত রাখতে হবে। বাংলা ভাষা ও বাঙালি কালচারও শেখাতে হবে। বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য তাদেরকে অবহিত করতে পারলেই বড় একটি দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে। আমরা কোথা থেকে এসেছে, সেটিও সন্তানেরা জানতে সক্ষম হলেই আমাদের দেশান্তরী হবার প্রত্যাশা পূরণ হবে।
কিশোরগঞ্জের সন্তান এবং জর্জিয়ার গুনেইট কাউন্টির বাসিন্দা শেখ রহমান বলেন, বুকটা ভরে যায় যখন আমাদের সন্তানদের মেধাসম্পন্ন রেজাল্ট দেখি। খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে তাদেরকে গ্রাজুয়েশন করার সংবাদ পড়ি। সিনেটর রহমান বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা বহুজাতিক এ যুক্তরাষ্ট্রে প্রকারান্তরে বাংলাদেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাবে-যদি আমরা তাদেরকে শেকড়ের সাথে পরিচিত রাখতে পারি।
ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় পর্যায়ের অন্যতম নীতি-নির্ধারক এবং গত ৬ বছরের অধিক সময় যাবত সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৫ এর সিনেটর হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনকারি সিনেটর শেখ রহমান বলেন, বহুজাতিক সমাজে আমি যখন নিজেকে একজন মুসলিম এবং বাঙালি হিসেবে পরিচয় দেই, অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন। কীভাবে সম্ভব জর্জিয়ার মত একটি স্টেটের সিনেট আসনে গত নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া। কারণ, আমার নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশির সংখ্যা শ’খানেক। মোট জনসংখ্যা দু’লাখের বেশি। শতাধিক ভাষা-বর্ণের মানুষ। শেখ রহমান উল্লেখ করেন, এটি সম্ভব হয়েছে সকলকে আপন হিসেবে বেছে নেয়ায়। অন্য ভাষা আর বর্ণের মানুষেরাও আমাকে তাদের একজন হিসেবে মনে করেন। তিনি প্রবাসীদেরকে মূলধারার রাজনীতিতে আরো জোরালোভাবে জড়িয়ে পড়ার আহ্বান জানান। তাহলে নিজের এবং কম্যুনিটির অধিকার-মর্যাদা সুরক্ষা করা সহজ হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে ‘মজুমদার ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক তাঁকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় মূলধারায় বিশেষ অবদানের জন্যে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশি আমেরিকান মোহাম্মদ এন মজুমদার প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশন দেশ ও প্রবাসে আর্ত পীড়িতদের পাশে রয়েছে এক দশকের বেশি সময় ধরে। ফাউন্ডেশনের সাথে থাকা কয়েকজন কর্মীকেও এ সময় অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন কম্যুনিটি লিডার আব্দুর রহিম বাদশা, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফজলুল হক, এভিএস রিয়েল এস্টেটের কর্ণধার মো. রফিক, নিউইয়র্ক লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন