বিভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মিলিত প্রয়াসে ফ্রান্সের প্যারিসে উদযাপিত হলো মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। কর্মব্যস্ত দিনেও বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে রিপাবলিকে সম্মিলিত একুশ উদযাপন পরিষদের ডাকে জড়ো হন প্রবাসীরা। হৃদয়স্পর্শী অনুভূতি, পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের স্মরণ করলো ফ্রান্স প্রবাসীরা।
ফ্রান্স বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ও স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠীর সার্বিক সহযোগিতায় প্যারিস শহরের ঐতিহাসিক মানবাধিকার চত্ত্বর রিপাবলিকে অস্থায়ী শহিদ মিনারে শত শত প্রবাসীর ঢল নামে। শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান একুশ উদযাপন কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন সম্মিলিত একুশ উদযাপন পরিষদের নেতারা।
কমিউনিটি নেতা মোতালেব খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পলিটিক্যাল মিনিস্টার কাজী এহসানুল হক, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল বাকী, এস এ শহীদ তাহের, মিজান চৌধুরী মিন্টু, নুরুল আবেদীন, ইউরোপিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন (ইপিবিএ) সভাপতি ফারুক খান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ফঁসে আভেক রাব্বানী (ওপিওরা) সভাপতি রাব্বানী খান, ইউরো বাংলা বিজনেস এসোসিয়েশনেরহেড অফ কোর্ডিনেটর আবু তাহির, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ) সভাপতি এমডি নুর, ফ্রান্স বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শাকিল সরকার, বৃহওর কুমিল্লা জনকল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিন খান হাজারী প্রমুখ।
ফ্রান্স বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সভাপতি ফেরদৌস করিম আখন্জীর পরিচালনায় অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সম্মিলিত একুশ উদযাপন পরিষদ, ফ্রান্স বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফ্রান্স শাখা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ), ফেনী সমিতি প্যারিস ফ্রান্স, কুমিল্লা জেলা সমিতি, গাজীপুর জেলা সমিতি, ইউরোপিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন (ইপিবিএ), ছাতক দোয়ারা জনকল্যাণ পরিষদ ফ্রান্স, বৃহওর কুমিল্লা জনকল্যাণ সমিতি, ফেন্সুগন্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, ইপিএস কমিউনিটি ইন ফ্রান্সসহ ফ্রান্সের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন।
র্যালি, আলোচনা সভা, একুশের গানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মহান একুশ উদযাপন করা হয়। এসময় জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলার দাবি ও প্যারিসে স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য সকল সংগঠনকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ