একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন না করতে সংঘাত, অসুস্থতা, ব্যক্তিগত সমস্যাসহ নানা কৌশল ও অজুহাত উল্লেখ করে বিভিন্ন দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি দায়িত্বপালনের জন্য দেয়া ‘কিছু’ চিঠির জবাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। কর্মকর্তা-কর্মচারী চেয়ে চিঠিগুলো চট্টগ্রামের সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বীমাসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে। তবে কৌশলে নানাবিধ সমস্যার বিষয়গুলো উল্লেখ করলেও যৌক্তিক কারণ ও যাচাই-বাছাই ছাড়া কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা থেকে সহজে পার পাবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন দপ্তরে ৮ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি চেয়ে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, ‘কর্মকর্তা চেয়ে পাঠানো চিঠির জবাবে কিছু কর্মকর্তা দায়িত্বে না থাকার কথা জানিয়েছেন। এখানে অসুস্থতা, আবার অনেকেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন। যারা নানা সমস্যা-অজুহাত দেখিয়েছেন তাদের যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করবে নির্বাচন কমিশন। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন না করে পার পাবেন না বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কায় দায়িত্ব পালনে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আগ্রহী হচ্ছেন না। এ জন্য তাদের অনেকে কৌশলে অজুহাত হিসেবে অসুস্থতা, ব্যক্তিগতসহ নানা কারণ দেখিয়ে চিঠির জবাব দিয়েছেন কমিশনে। অনেকে তালিকায় নাম দিলেও গোপনে তা বাদ দিতেও নানাভাবে করছেন তদবিরও।
থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মকর্তার তালিকা পাঠিয়েছেন। তালিকায় কিছু কিছু কর্মকর্তা অসুস্থতা থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কেউ কেবল অসুস্থতা দেখিয়ে ছাড় পাবেন না। যিনি দায়িত্বে সক্ষম নয় বলে উল্লেখ করেছেন তাকে সেই কারণের পেছনে সামগ্রীক যুক্তি ডকুমেন্টসহ আমাদের কাছে জমা দিতে হবে। তালিকায় সমস্যা উল্লেখ করা কর্মকর্তাদের যাবতীয় বিষয় আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন জবাব চাইবে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্প্রতি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তার তালিকা চেয়ে চট্টগ্রামের প্রায় ৮ শতাধিক দপ্তরে চিঠি দিয়েছিল চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন। কর্মকর্তাদের নাম, পদবী, বয়স, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, বেতন স্কেল, বর্তমান মূল বেতন, মন্তব্যসহ ব্যক্তিগত যাবতীয় বিষয় উল্লেখ করে তালিকা পাঠাতে নির্দেশনা হয় চিঠিতে। গত ৩০ অক্টোবর তালিকা জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। কর্মকর্তাদের প্রাপ্ত তালিকার ভিত্তিতে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং, সহকারী রিটার্নিংসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্ধারণ করবে কমিশন। ৫ নভেম্বরের মধ্যে প্যানেল প্রস্তুত করার কথা।
বিডি প্রতিদিনি/২ নভেম্বর ২০১৮/হিমেল