‘খাদ্যবাহিত অসুস্থতায় প্রতি দশজনে একজন আক্রান্ত হন। খাদ্যবাহিত রোগেই প্রতিবছর ৪২ হাজার মানুষ মারা যায়। প্রতিবছর ৫ বছরের নিচে যত শিশু মারা যায়, তার ১৫ শতাংশ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যাতে মানুষ মারা না যায় সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা খুব জরুরি।’
‘নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সচেতনতামূলক’ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দুপুরে নগরের আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আয়োজন এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব কবীর, উপসচিব সমীর কুমার বিশ্বাস, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ কুমার দত্ত। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ফুড সেইফটি সাইন্টিস্ট ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মো মাসুদ আলম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ ও পরিবেশনে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শপথ করান।
প্রধান অতিথি সৈয়দা সারওয়ার জাহান বলেন, ‘খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যাতে মানুষ মারা না যায়, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া খাদ্যে ভেজাল পরিলক্ষিত হলেই জাতীয় তথ্য সেবা নম্বর ৩৩৩ এ অভিযোগ করা যাবে। খাদ্যে ভেজাল ঠেকাতে অভিযানের পর নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করছি।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার