শতভাগ খাদ্য ভাতাসহ ১৫ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনও ১১ দফা দাবিতে ২৮ নভেম্বর সব নদী ও সমুদ্রবন্দরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কর্মবিরতির ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট (লাইটার) জাহাজে গম, ক্লিংকার, তেলসহ কাঁচামাল খালাস, নৌপথে পরিবহন কার্যত বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্মবিরতির বাইরে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সারাদেশে ৩ হাজারের বেশি লাইটার জাহাজ পণ্য পরিবহন করে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে অন্ত দুই হাজার লাইটার জাহাজ, বাল্কহেড, কার্গো ট্রলার, অয়েল ট্যাংকার।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বহির্নোঙরে থাকা বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এতে জাহাজের গড় অবস্থান সময় বেড়ে গেলে এর মাশুল গুণতে হবে আমদানিকারকদের।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ