চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন ঘিরে আবারও কর্মতৎপরতায় ফিরছে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা স্ব স্ব কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে আজ শনিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়।
এতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের তালিকা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এতে চসিক নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য ১৫ হাজার ৩৯৩ জন কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ নিবেন। তবে ভোট গ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই (ইভিএম)। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ ইভিএম। প্রত্যেক বুথে দুটি ইভিএম থাকবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন অফিসের দায়িত্বশীলরা।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। ইভিএমের মাধ্যমেই ভোট গ্রহণ হবে। গত ২০ মার্চ তিন হাজার কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। মহানগরের ৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রশিক্ষণ, যা চলে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে।
নির্বাচন অফিস ও প্রশিক্ষণে আসা শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি স্থায়ী ও দুটি অস্থায়ী।
নির্বাচনের দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তাদের অনেকেই আছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক। তাদের মধ্যে নারীও আছেন। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এমনিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুটিন দায়িত্ব পালন করতে হয়, তার ওপর সংসারের কাজ সামলে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা খুব কঠিন। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকায় ভয়ে আছেন তারা।
জানা গেছে, ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএম-এ ভোট দেন ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের ভোটাররা। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের চসিক ১৫ থেকে ২৩ এবং ৩১ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত মোট ১৪ ওয়ার্ডের ভোটার ইভিএম-এ ভোট দেন। এর আগে ভোটারদের ইভিএম ভীতি দূর করতে মক ভোটিং এর ব্যবস্থা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর