চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্ন্ডট কর্ডেন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্টক পিয়ারসালের পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তার থিসিসের বিষয় ছিল ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডিং ইন দ্য অ্যাপারেল ভ্যালু চেইন : এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ২৪ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগ দেন। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াতে গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে চাকুরিতে যোগদান করে গবেষণার বাকি কাজ শেষ করেন। গত ১৮ অক্টোবর তিনি ‘স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ-২০২৩’ এর আওতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ‘স্মার্ট স্কুল বাস’ নামক উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর সাধনার পর প্রত্যাশিত ফলাফল পেয়েছি। গবেষণার কাজে বহু বিনিদ্র রজনী পার করেছি। চাকরির পাশাপাশি গবেষণা চালিয়ে যাওয়া বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এ সফলতা ভাষায় প্রকাশের মতো নয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, যখন থিসিস চলছিল, তখন ছিল বৈশ্বিক মহামারী করোনা। কোভিডের কারণে অনলাইন ভিত্তিক অনেকগুলো প্রোগ্রামিং আমাকে শিখতে হয়েছে। তখন কারো সহযোগিতা পাওয়ারও সুযোগ ছিল না। সবকিছু নিজকেই করতে হয়েছে। তাছাড়া, শিক্ষা ও গবেষণা কাজে অস্ট্রেলিয়ার একটা নীতি আছে। সেটি হলো জ্ঞানের রাজ্যে নতুন জ্ঞান যুক্ত করতে হবে নয়তো চলমান যে কোনো জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। এদুটোর কোনোটা না হলে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত ডিগ্রির অনুমোদন দেয় না।
তিনি বলেন, কনফার্মেশন লেটার পাওয়ার আগ পর্যন্তই অনিশ্চয়তায় ছিলাম। তিনজন সুপারভাইজর, এক্সটার্নালগণ যদি থিসিসে সন্তুষ্ট না হন আমার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হবে না। গত পাঁচ বছর কত পরিশ্রম করেছি সেটা আমি জানি। এমনও হয়েছে পেপার জমা দিয়েছি, প্রফেসরগণ বললেন, এভাবে নয় ওভাবে করো। নির্দেশনা অনুযায়ী করলাম। আবার নতুন করে নির্দেশনা দিলেন। এভাবে সময়, শ্রম যা দিয়েছি, যত অনিশ্চয়তা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের এক অভিনন্দন বার্তায় সব আনন্দে পরিণত হলো।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের পারিবারিক জীবনে সহধর্মিণী তানজিয়া রহমান ও দুই সন্তান আছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল