পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনয়ন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম জিল্লুর করিম শরীফির বিরুদ্ধে। গত সোমবার রিটার্নিং অফিসাররের কার্যালয়ে যাচাই বাছাইয়ে তার মনোনয়পত্রটি বৈধ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে সমালোচনা চলছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, জিল্লুর দলীয় পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনয়ন নিয়েছেন। এর পেছনে তার কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। হতে পারে যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিলে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত কাগজপত্র দেওয়ার ঝামেলা এড়াতে এমনটা করতে পারেন। এর বাইরে কোনো উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। তবে যে উদ্দেশ্যেই তিনি এই কাজ করেন না কেনো, এটা প্রতারণার শামিল এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী।
অভিযোগ অস্বীকার করে জিল্লুর করিম দাবি করেন, তিনি যেই কমিটির সভাপতি ছিলেন সেটা মেয়াদোত্তীর্ণ। বর্তমানে তার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি নেই।
তবে ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান তালুকদারের দাবি, এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আছে। জিল্লুর সভাপতি, তিনি (মুজিবুর) সাধারণ সম্পাদক।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘জিল্লুর করিম কংগ্রেস থেকে প্রার্থী হয়েছেন। কেনো হয়েছেন তিনি ভালো জানেন। শিগগিরই উপজেলা আওয়ামী লীগ বসে তার ব্যাপারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিবে।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদে থেকে অন্য দল থেকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জিল্লুর ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানসহ ১০ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তবে ঋণ খেলাপি হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও অন্য একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল