তুরস্কের বুসরাতে মাটির নিচে পাওয়া গেছে দুই হাজার বছরেরও বেশি পুরনো একটি নির্যাতন কেন্দ্র। গবেষকরা মাটির নিচের এই গুহাতে প্রাচীন যুগে বন্দীদের ভয়ংকর নির্যাতনের নানান নমুনা পেয়েছেন। নির্যাতন কেন্দ্রটি প্রায় ২ হাজার ৩’শ বছরের পুরনো বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
Uludağ University এর গবেষক İbrahim Yılmaz এর নেতৃত্বে এক দল গবেষক এই প্রাচীন গোপন নির্যাতন কেন্দ্রটি আবিষ্কার করেন। এটি তুরস্কের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। গুহার ভেতরের দেয়াল প্রায় ৩.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং দুই হাজার বছর পরও রয়েছে অনেকটা অক্ষত। নির্যাতন কেন্দ্রের দেয়ালে মানুষের রক্ত লেগে থাকারও প্রমাণ পাওয়া গেছে! পাওয়া গেছে বন্দীদের নির্যাতন করে মারার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্যাতন কেন্দ্রে বন্দীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা হত। বন্দীদের মাথা কেটে মারা হত এবং পরে তাদের শরীর দেয়ালে ছুড়ে মারা হত। নির্মম ভাবে মৃত্যু কার্যকর করার পরে অবশিষ্ট শরীর ফেরত দেওয়া হত আসামীদের আত্মীয়ের কাছে।
আরও তথ্য পাওয়া গেছে, মৃত্যু কার্যকর করার পরেও মৃতদের শরীর নিয়ে নির্যাতন কেন্দ্রের রক্ষীরা বাণিজ্য করত। সে সময় মৃতের শরীর যদি মৃতের আত্মীয়রা ফেরত নিতে আসত তবে তাদের কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করা হত!
এদিকে তুরস্কের Bursa অঞ্চলের মিউনিসপ্যাল কর্পোরেশানের পরিকল্পনা হচ্ছে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দেখার সুবিধার্থে এই এলাকায় পাওয়া প্রাচীন এই নিদর্শনকে ঘিরে একটি জাদুঘর তৈরি করা হবে। আনুমানিক ২০১৬ সাল নাগাদ এই যাদুঘর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলেও তারা আশাবাদি। সূত্রঃ দি ডেইলিমেইল