গাঁজা সেবীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘৪/২০’ বা ‘৪২০’ হয়ে গেল গতকাল রবিবার। উৎসব উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যের ডেনভার শহরের সিভিক সেন্টারে জড়ো হয়েছিল ৮০ হাজারেরও বেশি গাঁজাসেবী। অবশ্য ভাল জায়গা পেতে শনিবার থেকেই পর্যাপ্ত গাঁজা সরঞ্জাম নিয়ে উৎসবস্থলে আসতে শুরু করে গাঁজাসেবীরা।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই গাঁজাসেবীদের মধ্যে ‘৪২০’ সংখ্যাটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে এটি মারিজুয়ানা সেবনকারীদের কোডে পরিণত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই এ সংখ্যাটিকে উদযাপন করে আসছে গাঁজাসেবীরা। এ বছর সংখ্যাটি উদযাপনের মোক্ষম দিন হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছিল এপ্রিলের ২০ তারিখকে। মার্কিনিরা তারিখ লেখার সময় মাস আগে লেখে ও তারিখ পরে লেখে। সে হিসেবে এপ্রিলের ২০ তারিখের লিখিত রূপ হলো ৪/২০। আর এটি থেকে বিভক্তি চিহ্ন (/) সরিয়ে দিলে দাঁড়ায় ৪২০।
সম্প্রতি কলোরাডোয় ‘বিনোদনমূলক মারিজুয়ানা’ বিক্রির বিষয়টি অঙ্গরাজ্য সরকারের অনুমোদন পেয়েছে। আর এ কারণেই এ বছরের উদযাপনস্থল হিসেবে কলোরাডোর ডেনভার শহরকে বেছে নেওয়া হয়।
উৎসব উপলক্ষে গতকাল থেকেই ডেনভারের সিভিক সেন্টারে জড়ো হচ্ছেন মারিজুয়ানা সেবকরা। তবে এ উৎসবকে কেবল গাঁজা সেবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা। এটি রীতিমতো একটি সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। উৎসবস্থল ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
তবে প্রকাশ্যে মারিজুয়ানা সেবন নিষিদ্ধ হওয়ায় উৎসবস্থল থেকে প্রায় ২৫ জনের মতো ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
‘৪২০’ কোডের ইতিবৃত্ত
১৯৭১ সালে, উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার সান রাফায়েল হাইস্কুলের পাঁচ কিশোরের একটি দল ছিল। দলটির সদস্যরা ‘ওয়াল্ডো’ নামে পরিচিত ছিল। এই ওয়াল্ডো বাহিনী প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দিয়ে মারিজুয়ানার ক্ষেতে গুপ্তধন খুঁজতে যেত। আর সেই অল্প বয়স থেকেই তারা দস্তুর মতো গাঁজাসেবী হয়ে ওঠে। পাঁচ বন্ধুর এই দলটিই ‘৪২০’ সংখ্যাটিকে কোড সংখ্যা হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। এর সেই থেকেই ধীরে ধীরে তা গাঁজা সেবনকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।