আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় বহু বিবাহকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বহুবিবাহের একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউহুরু কেনিয়াত্তা। এ আইন অনুযায়ী ইচ্ছা হলে যে কেউ যত খুশি বিয়ে করতে পারবেন।
কেনিয়ার এ আইন চালুর বিষয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক চলছিল। অবশেষে দেশটির পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের ভোটে বহুবিবাহ বিল পাস হয়। আর প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তা আইনে পরিণত হল।
বহুবিবাহ আইন নিয়ে সবচেয়ে বড় বিতর্ক ছিল প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ করা যাবে কিনা- এ বিষয়ে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল দ্বিতীয়, তৃতীয় বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক স্ত্রীর সঙ্গে ঘর বাঁধতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি লাগবে না।
কেনিয়ার নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, বহুবিবাহের এ আইন নারীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিল। এতে নারী অধিকার মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হবে।
এ আইনের আর একটি দুর্বলতা হল, একের অধিক স্ত্রী থাকলে স্বামীর মৃত্যুর পর বা তালাক হওয়ার পর স্ত্রীরা তাদের স্বামীর সম্পত্তির কে কতটুকু অংশ পাবেন তা আইনে উল্লেখ নেই। তবে একজন স্ত্রী থাকলে তিনি তার স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেক পাবেন, আগে থেকে চালু থাকা এ আইন কার্যকর রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
নতুন এ আইনের সমালোচনা করেছেন দেশটির খ্রিষ্টান নেতারা। তাদের দাবি, বহুবিবাহ আইন কার্যকরের ফলে খ্রিষ্টান পরিবারের শৃঙ্খলা মারাত্মকভাবে ব্যহত হবে এবং তা ধর্ম অবমাননার শামিল হবে।
কেনিয়ার নারী নেত্রীরা প্রেসিডেন্ট কেনিয়াত্তার কঠোর সমালোচনা করেছেন। নারীর মর্যাদাকে প্রেসিডেন্ট খাটো করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
এদিকে কেনিয়ায় সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস হয়েছে। সে আইন মতে, কোনো ব্যক্তি ১৮ বছরের আগে বিয়ে করতে পারবেন না।
সূত্র : বিবিসি অনলাইন।