৩৪ বছরেও একটা প্রেমিকা জোটাতে পারেনি প্রেদ্রাগ জোভানভিচ। হবেই বা কী করে? মেয়েদের দেখলেই যে হাঁটু কাঁপা শুরু হয়ে যায়। তাই শেষ আশ্রয় হিসেবে বেঁছে নেয় ফেসবুক। অন্তত এখানে তো কোন মেয়ের সামনা-সামনি দাঁড়াতে হয় না। অ্যাকাউন্ট খুলে গুনে গুনে পাঁচ হাজার জনকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। অধিকাংশই নারী। রিকোয়েস্ট পাঠাতে গিয়ে বেশ কয়েকবার ব্লকও হতে হয় প্রেদ্রাগকে। তারপরও দমেনি প্রেমিক হৃদয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার করেছে ফেসবুকে ফ্রেন্ড বানাতে। ফেসবুকে একসঙ্গে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার পর তাঁদের ডেটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল সে। কিন্তু বিধি বাম। পাঁচ হাজার জনের মধ্যে বাস্তব জীবনে বন্ধুত্বে জোভানভিচের প্রস্তাবে সাড়া দেন মাত্র ১৫ জন। আর ১৫ জনই প্রেম কিংবা ডেটিংয়ের প্রস্তাবে সরাসরি `না` করে দিয়েছেন। জোভানভিচ নিজেই তথ্য-প্রমাণ সহকারে জানালেন এই কথা।
প্রেদ্রাগ জোভানভিচ সার্বিয়ার বাসিন্দা। ৩৪ বছরে জোভানের শখ হয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধু বানানো। আর বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, প্রেম থেকে ডেটিংয়ে যাওয়ার জন্যই পেদাগ্র এই স্ট্র্যাটেজি নেয়। কিন্তু, লাজুক প্রেদ্রাগকে নিষ্ঠুরভাবে ফিরিয়ে দেয় তার বান্ধবীরা।
এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশ মনখারাপ জোভানভিচের। বললেন, ''আমি এমনিতে মেয়েদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে খুব লজ্জা পাই। আমি বেলগ্রেড থেকে কিছুটা দূরে একটা ছোট শহরে থাকি। কিন্তু ওখানে বেশিরভাগ মেয়েই আমার চেয়ে বয়সে বড়, আর বাকিদের বিয়ে হয়ে গেছে। লাজুক বলে আমার সঙ্গে সরাসরি কেউ বন্ধুত্ব পাতাতে চায় না। তাই ভেবেছিলাম ফেসবুকের মাধ্যমে আমি আমার একাকিত্ব কাটাতে পারব। সেখানেও ধাক্কা খেলাম...।"