অনেকটা শখের বশেই হোক বা মনের আনন্দেই হোক নিজেদের বাড়ির ছাদে বিদেশি গানের সঙ্গে নাচ করার ইচ্ছে হয় তিস ইরানি মেয়ের। তাই প্রস্তুতিমাফিক তারা ছাদে নাচার জন্য যায়। পছন্দের গানের সঙ্গে তারা মনের আনন্দে নাচে। তাই বলে এর জন্য জেলে যেতে হয়েছে!
হ্যাঁ, সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছে। জেলে যাওয়া তিন তরুণীর মধ্যে একজন ফ্যাশন ফটোগ্রাফার রেইহান তারাবতী। তিনি তার দুই মেয়ে ও তিন পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে বাড়ির ছাদে ফ্যারেল উইলিয়ামের বিখ্যাত গান ‘হ্যাপি'-এর সঙ্গে নাচছিলেন। মোবাইল ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে তারা তাদের নাচের পর্বটি ভিডিও করেন। এরপর তারাবতী ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করেন। তাতেই তার কপালে ঘটে বিপত্তি।
তেহরান পুলিশের বক্তব্য, এভাবে বিদেশি গানের সঙ্গে ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে নাচায় তিন তরুণীরই কুমারীত্ব নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের কার্যকলাপ সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর ও ইসলাম পরিপন্থী। সেজন্যই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে। ট্যুইট করেছেন ‘হ্যাপি'-র গায়ক উইলিয়াম। তিনি লিখেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে আনন্দ করার অপরাধে তিন তরুণীকে জেলে যেতে হল।'
এদিকে স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তারাবতী ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তার কথায়, ‘এমনটা যে হতে পারে ভাবতে পারিনি।' একইসঙ্গে তিনি ট্যুইট করে পাশে থাকার জন্য বিদেশি গায়ক উইলিয়ামকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সর্বশেষ জানা যায়, ওই তিন তরুণী আপাতত জামিনে মুক্তি পেয়েছে বলে দেশটির সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে।