ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি চলে পেশি সুগঠিত করার কাজ। শুরুতে পেশি গঠনের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। এজন্য বইপত্র জোগাড় করে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। তারপর কাজে নেমে পড়েন। ধীরে ধীরে এটি তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বাহরাইনের হাইফা মুসাবি। তার ওজন এতই দ্রুত বাড়ছিল যে, ৩২ বছর বয়সেই এতোটা মোটা হয়ে গিয়েছিলেন যে বেশ চিন্তায় পড়ে যান। এজন্য একজন শরীরচর্চাবিদের কাছে যান। তাঁর কাছেই জানতে পারেন শরীরকে সুঠাম রাখার কৌশল।
তবে পেশি সুগঠিত করার কাজটি সহজ ছিল না। আরবের সমাজে নারীদের শরীরচর্চা বা পেশি গঠনের প্রচলন খুব একটা নেই। কিন্তু হাইফা নিজের স্বপ্ন পূরণে ছিলেন দৃঢ়। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন তিনি। অন্য সব কাজের চেয়ে এটিই তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রথমে হাইফার পরিবার আপত্তি জানালেও পরে সবাই তাঁর পাশে দাঁড়ায়। এভাবেই চলতে থাকে হাইফার শরীরচর্চা। ১০ বছর ধরে মনযোগ সহকারে শরীরচর্চা করছেন তিনি। আরব সমাজে মেয়েদের এ ধরনের শরীরচর্চা তো দূরের কথা, পেশি তৈরির ব্যাপারটিও সহজে মেনে নেওয়া হতো না। হাইফাকে শুনতে হয়েছে নানা কটূক্তি। তবুও হাল ছাড়েননি। এরপর চেষ্টার ফসল হিসেবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শরীরচর্চা সংস্থার কাছ থেকে সনদ পান হাইফা। দুবাইয়ে এখন তিনি ওজন কমানোর বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, জুন মাসে ইন্টারন্যাশনাল ন্যাচারাল বডিবিল্ডিং অ্যাসোসিয়েশন চ্যাম্পিয়নশিপে শারীরিক বিভাগে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন হাইফা। আর দুবাইয়ে এই ধরনের প্রতিযোগিতা প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ জুলাই, ২০১৫/ রোকেয়া।