যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া কোনো ভোটার যদি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দেন তবে তাকে গুণতে হবে ১০০ রুপি জরিমানা। ভারতের গুজরাট রাজ্যে ভোট না দিলে জরিমানার এই আইন করা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন যেমন পঞ্চায়েত ও পৌরসভা নির্বাচনে নাগরিকদের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভোট বাধ্যতামূলক করা নিয়ে ব্যাপক চাপ ও সমালোচনার মুখে পড়ে গুজরাট রাজ্য সরকার। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করে 'গুজরাট স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আইন (সংশোধিত) বিল-২০০৯' এর ক্ষমতাবলে ভোট দেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে।
কেউ যদি ভোট না দেয়, তবে জরিমানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। সরকারি সহায়তা ও ভতুর্কিখাতগুলো থেকে বাদ পড়তে পারে এ ধরনের ব্যক্তি।
রাজনৈতিক নির্বাচনে ভোট দেওয়া সাধারণত বাধ্যতামূলক নয়। কোনো দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা প্রচলিত আছে বলে জানা নেই। আর বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতেও ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু এই প্রথম ভারতের কোনো রাজ্যে ভোট দেওয়া আবশ্যিক করা হলো। আর এ রাজ্যেই জন্মগ্রহণ করেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখানেই তিনি তিন মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
গুজরাটের স্থানীয় নির্বাচনে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে না। ভোটারদের উৎসাহিত করতে এই আইন করা হয়েছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে জিম্মি হয়ে গেল জনগণের মতামত।
এদিকে গুজরাটের স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, সুস্থ থাকলে ভোটার কেন ভোটকেন্দ্রে আসবে না। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তো তাদের জন্যই কাজ করে।
এদিকে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে। অসুস্থতা, ভোটার নিজে বিয়ে করলে, মেডিকেল এমারজেন্সি, বয়স ৭৫ বছরের ওপরে, ৭০ শতাংশ প্রতিবন্ধী, ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা, চাকরির পরীক্ষার জন্য কোথায় ব্যস্ত থাকতে হলে- এসব কারণে ভোটার ছাড় পাবেন। তবে সংশ্লিষ্ট নাগরিককে চিঠির মাধ্যমে তার ভোট না দিতে পারার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। ব্যাখ্যায় কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হলে, তাকে জরিমানা করা হবে না, অন্যথায় জরিমানা দিতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ আগস্ট, ২০১৫/ এস আহমেদ