মহিলা কলেজ থেকে কি কোনো পু্রুষ শিক্ষার্থী ডক্টরেট ডিগ্রি নিতে পারে? প্রশ্নটি আপনার আমার মতো ভারতের বেঙ্গালুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও। তিন বছর অাগে বিশ্ববিদ্যালয়টি দুই পুরুষ শিক্ষার্থীকে এর অধিভুক্ত একটি মহিলা কলেজ থেকে পিএইচডি করার অনুমোদন দেয়। অার অাজ তিন বছর পর এসে বিষয়টি নজরে আসে তাদের। এখন কর্তৃপক্ষের মাথায় হাত। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়িয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
দুই পুরুষ পিএইচডি শিক্ষার্থীর একজন ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। আর অপর শিক্ষার্থী এর পরের বছর পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ২ শিক্ষার্থীকে এর অধিভুক্ত মহারানি কলেজ ফর উইমেন'র ভিএইচডি সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব হোম সায়েন্স'এ তাদের পিএইচডি করার অনুমোদন দেয়। অনুমোদন পেয়ে তারা তাদের নির্দিষ্ট বিষয়রে উপর গবেষণা শুরু করে। ইতোমধ্যে তারা তাদের গবেষণাকর্ম শেষ করে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছ। অথচ মহিলা কলেজে পুরুষ শিক্ষার্থীকে কিভাবে পিএইচডি করার অনুমতি দেয়া হলো এ বিতর্কে তিন বছর পর এসে এখন বিপাদে পড়লো ওই ওই শিক্ষার্থী। যদিও ভুলটি কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের তরফে হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বেঙ্গালুর বিশ্ববিদ্যালয় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায়ও উত্থাপন করেছে। এ নিয়ে সিন্ডিকেট একটি প্রতিবেদনও দিয়েছে। এতে বলা হয়, 'সর্বশেষ ডক্টরাল সভায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বিষয়টি উত্থাপন করেন। মহিলা কলেজে কিভাবে পুরুষ শিক্ষার্থীকে পিএইচডি করার অনুমতি দেয়া হলো এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। দু'জন পুরুষ শিক্ষার্থীকে পিএইচডি করার অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ডসে আছে বলে এতে বলা হয়।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এম রামাচন্দ্র স্বামী বলেন, 'পুরুষ শিক্ষার্থীকে মহিলা কলেজে পিএইচডি করার অনুমতি দেয়ার পেছনে বেঙ্গালুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি কি তা অামার বোধগম্য হচ্ছে না। তাই ব্যাপারটি পরিস্কার করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে বলেছি।'
এদিকে, সিএস শিভাকুমার নামে ওই দুই পুরুষ পিএইচডি শিক্ষার্থীর একজন বলেন, 'পিএইচডির ক্ষেত্রে অামি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি এবং এমনকি কোর্স ওয়ার্কের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদও পেয়েছি। আমি যে বিষয়টির উপর [উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল'র ক্ষেত্রে ওয়ালনাট খাওয়ার প্রভাব] পিএইচডি করেছি তা ভারতে প্রথম। কোর্সটি করতে গিয়ে আমি প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করেছি, যা প্রায় শেষ হওয়ার পথে। যা আমার ভুল নয় এজন্য আমাকে শাস্তি দেয়া হবে না বলেই আশা করছি।'
অপরদিকে, বিষয়টির সমাধান কি এ ব্যাপারে জানুয়ারিতে জানা যাবে। তখন সিন্ডিকেট এ বিষয়ে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ