সামনে পড়ে আছে দু'টো পা। হাঁটুর নীচ থেকে আলাদা! আর লাইনের পাশে পড়ে কাতরাচ্ছেন পায়ের মালিক। কখনও বলছেন, ''বাঁচান, আমাকে বাঁচান।'' পরক্ষণে কাটা পায়ের দিকে তাকিয়ে শিউরে উঠছেন— ''বেঁচে থেকে কী লাভ! সব তো শেষ!''
সত্যিই সব শেষ হয়ে গেল মিনিট পনেরোর ফারাকে। এরমধ্যে তাকে উদ্ধার করে কেউ হাসপাতালে নেয়নি। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে বেশি ভাবতে হলো না বোধহয়! একই লাইনে আসা অন্য ট্রেনের সামনে বাড়িয়ে দিলেন মাথা! আলাদা হয়ে গেল ধড়-মুন্ডু। নিমিষেই শেষ হয়ে গেল লাল্টু পাল (৩৯) নামে যুবকটির জীবনের অধ্যায়।
সোমবার সকালে ভারতের শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখার হালিশহর স্টেশনে এমন মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী রইলো প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো বহু মানুষ। তার আগে অবশ্য কিছু যাত্রী কেবিনম্যান-স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে গিয়ে বলেছিলেন, ওই লাইনে আসতে চলা পরের ট্রেনটিকে যেন আটকানো হয়। চেয়েছিলেন স্ট্রেচার। কয়েক জন লাইনে নেমে লাল্টুকে খানিকটা সরিয়েও এনেছিলেন। কিন্তু সে সব কাজে আসেনি। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রেল-কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হলে মৃত্যু হয়তো এড়ানো যেত।
পরে এই ক্ষোভ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। হালিশহর স্টেশনে আসা পরের ট্রেনটি আটকে দেয় জনতা। স্টেশন ম্যানেজার ঘেরাও হন। বিকেলে শিয়ালদহ রেল-পুলিশের সুপার দেবাশিস বেজ বলেন, ''প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, ঠিক কী হয়েছিল।''
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি-প্রতিদিন/১৯ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ