মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে মশাকেই কাজে লাগাচ্ছেন দক্ষিণ চীনের বিজ্ঞানীরা। ডেঙ্গু, ইয়েলো ফিভার ও জিকা নিশ্চিহ্ন করতে ছাড়া হচ্ছে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামিত ৬০ লক্ষ মশা।
এই প্রকল্পে গবেষণাগারে মশার ডিমে ইঞ্জেকশনের সাহায্যে ওলবাচিয়া ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করানো হয়েছে। সংক্রামিত মশার ঝাঁক তারপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে গুয়াংঝৌ শহরের বাইরে এক দ্বীপে। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, ২৮% বুনো মশা এই ব্যাক্টেরিয়ায় সংক্রামিত হয়। সংক্রামিত পুরুষ মশার সঙ্গে মিলনের পরে স্ত্রী মশার শরীর থেকে অন্যান্য রোগের জীবাণু দূর হয়। এর ফলে নিয়ন্ত্রিত হয় মশার বাচ্চা জন্মানোর হার। অন্য দিকে, মিলনের ফলে যেমন স্ত্রী মশার শরীর থেকে অন্য রোগের জীবাণু দূর হয়, পাশাপাশি তার ডিম থেকে জন্মানো মশা গোড়া থেকেই ওলবাচিয়া ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা সংক্রামিত হয়।
সান ইয়াত-সেন ইউনিভার্সিটি সেন্টার অফ ভেক্টর কন্ট্রোল ফর ট্রপিক্যাল ডিজিসেস-এর ডিরেক্টর তথা এই প্রকল্পের জনক ঝিওং শি জানিয়েছেন, 'আমাদের লক্ষ্য মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা, যার ফলে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কমে।' তিনি জানিয়েছেন, রোগের প্রকোপ ঠেকাতে জায়গা বিশেষে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামিত মশার ঝাঁক ছাড়া হচ্ছে। এই ভাবে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লক্ষ্য বিশেষ সংক্রামিত মশা ছাড়ার পরিকল্পনা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২০১২ সালে ৩৫০০ বর্গমিটার জমির ওপর নিজের 'মশা কারখানা'র পত্তন করেন শি। গুয়াংঝৌ শহরের বাইরে ওই দ্বীপে দু'টি বসতিতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামিত মশার ঝাঁক ছাড়া হয়। এর ফলে দ্বীপের মশার সংখ্যা অন্তত ৯০% হ্রাস পেয়েছে বলে শি-এর দাবি।
সূত্র: এই সময়
বিডি প্রতিদিন/৩ আগষ্ট ২০১৬/হিমেল-২৩