দীর্ঘ ৪৪ বছর অপেক্ষার পর পূরণ হতে যাচ্ছে অ্যাঙ্কি স্পিটজের সেই প্রতীক্ষা। দেরিতে হলেও তিনি অলিম্পিকে তার স্বামীর স্মরণে কোন অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন। আর এটাই ছিল তার প্রতীক্ষা।
১৯৭২ সালে মিউনিখে যে ১১ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করা হয়, তার স্বামী অ্যান্ড্রে স্পিটজের তাদের একজন। ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা মিউনিখে অলিম্পিক ভিলেজে হামলা করে অনেককে জিম্মি করে। তাদের দাবি ছিল, ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ২০০ ফিলিস্তিনির মুক্তি দিতে হবে।
হুমকি হিসাবে প্রথমে তারা দুজন অ্যাথলেটকে হত্যা করে। পরে জার্মান পুলিশ অভিযান চালালে অপর৯ জন অ্যাথলেট এবং একজন জার্মান পুলিশ নিহত হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই অলিম্পিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমূল বদলে যায়।
এরপর থেকে নিহতদের স্বজনের দীর্ঘদিনের দাবি-অনুরোধের পর, রিও ডি জেনিরোর অলিম্পিকে সেই নিহত অ্যাথলেটদের স্মরণে একটি স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠান এবং একটি স্মৃতিচিহ্ন উন্মুক্ত করা হবে।
৭২ বছর বয়সী মিসেস স্পিটজের বলছেন, তাদের স্মরণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক মুহূর্ত নীরবতা পালন করা হবে, এই দৃশ্যটি দেখার আশা আমি কখনোই ছাড়তে পারব না।
১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিকে বিন বোমায় নিহত দু'জন এবং ২০১০ সালে উইন্টার অলিম্পিকে দুর্ঘটনায় নিহত একজন, তাদেরও ওই অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হবে। ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকেও ওই ভাস্কর্যটি প্রদর্শন করা হবে।
সূত্র: বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব