রাজপ্রাসাদে মালি চেয়ে বিজ্ঞাপন! তাও আবার যে সে রাজপ্রাসাদ নয়, একেবারে বাকিংহাম প্যালেসের ওয়েব দেওয়ালে পড়েছে এমন বিজ্ঞাপন। কিন্তু, তাতে কী? রানির বাগানের মালি হওয়া তো কম গর্বের কথা নয়। তাই বিজ্ঞাপন পড়তেই হুলুস্থূল পড়ে গেছে মালিদের মধ্যে। গাছ-পালা, ফুল-ফলের চর্চাকে মাথায় তুলে আপাতত ভালো একটি বায়োডাটা বানাতে মন দিয়েছেন তারা।
মালি-কে অবশ্য ব্রিটেনেরই হতে হবে এমনটা কোথাও বলা হয়নি। দেশ কিংবা জাতির ব্যারিকেডে বাগানের সৌন্দর্যকে বেঁধে রাখতে চান না রানি। ভারতের জবা-টগর-অপরাজিতা কিংবা চীনের প্লাম ব্লসম ফুটতেই পারে রানির সাজানো বাগানে। তাই মালি যে কোন জাতির হতে পারেন। শুধু অলস না হলেই হল।
আসলে রাজপ্রাসাদের বাগানে অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। কিছু একটা হলেই হল, অমনি দেশ বিদেশের উচ্চবংশীয়রা দল বেঁধে হাজির হন সেখানে। আয়োজন হয় হাই প্রোফাইল গার্ডেন পার্টির। তাই চটপট বাগান সাজানোর দক্ষতাও থাকতে হবে মালির। হতে হবে একাধারে ব্যতিক্রমী ও অন্য ধারে সৃষ্টিশীল। করতে হবে হাসিমুখে মুশকিল আসান। আর তা হলেই কেল্লা ফতে। রানি খুশি হলে উপচে উঠবে উপার্জনের ঝুলি। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে রাজপ্রাসাদের বিজ্ঞাপনে।
আপাতত মালির বছর প্রতি বেতন ঠিক হয়েছে ১৬ হাজার ৫০০ পাউন্ড। অর্থাৎ ১৫ লাখ টাকার কাছাকাছি। আনুষঙ্গিক হিসাবে থাকছে থাকা-খাওয়ার যাবতীয় সুবিধা। মালি ও তার পরিবারের জন্য আলাদা বাড়ি তো দেওয়া হবেই। সেই সঙ্গে তাদের খাওয়া-দাওয়ার খরচও বহন করবে রাজ পরিবারের সংসারপাতি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা রয়্যাল হাউজহোল্ড।
নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞাপনে বাকিংহাম জানিয়েছে, কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তাদের দক্ষতার মানোন্নয়নের সমস্ত ব্যবস্থা করবে তারা। সঙ্গে বছরে ৩৩ দিনের ছুটি, ১৫ শতাংশ এমপ্লয়ার কন্ট্রিবিউশন পেনশন প্রকল্প এমনকী কর্মচারীর জন্য বিশেষ মনোরঞ্জন ভাতাও থাকবে।
আবেদনকারীর খেলার মাঠ তৈরির শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। অন্তত দ্বিতীয় স্তরভুক্ত প্রশংসাপত্রের অধিকারী হতে হবে। যে কোন সময়ে কাজে লেগে পড়ার মানসিকতা থাকা জরুরি। সেই সঙ্গে আবেদনকারী যে জাতিরই হোন না কেন, তার ব্রিটেনের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। আবেদনপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/২৩ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-২০