গত শতাব্দীতে পেট্রো-ডলারের বদৌলতে হঠাৎই আমির বনে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের আরব বেদুইনরা। হাতে কাঁচা টাকা, খরচের জায়গা নেই। তাই তাদের অনেকেই শখ করে বাঘ, সিংহ, বাজপাখিসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী পালন করেন। এর পেছনে খরচ করেন কোটি কোটি টাকা। কিন্তু টাকা বাড়লেও এদের কাণ্ডজ্ঞান যে খুব একটা বাড়েনি, তার প্রমাণ মিললো দিন দুই আগে এক জনাকীর্ণ মার্কেটে।
হঠাৎই ওই মার্কেটে একটি বাঘ নিয়ে হাজির হয় এক মধ্যবয়সী। সে যে একটা বাঘের মালিক সেটা দেখাতেই যেন তার এ উদ্যোগ। আশপাশের ছেলে-বুড়ো সবাই ছুটে নিরাপদ দূরত্বে পালালেও একটা বাচ্চা মেয়ে না পালিয়ে বাঘটির পেছনে গিয়ে দেখতে থাকে। বাঘটিও বোধহয় নিজেকে এমন পরিবেশে অনিরাপদ মনে করে বসে। হয়ত সে ওই বাচ্চা মেয়েটিকেই নিজের শত্রু মনে করতে শুরু করে। মুহূর্তে হিংস্র বাঘ থাবা মেরে বাচ্চা মেয়েটিকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে চড়াও হয়। চারিদিকে চিৎকার-চেচামেচি শুরু হয়ে যায়। পরে বাঘওয়ালা লোকটি বাঘের কবল থেকে মেয়েটিকে অনেক কষ্টে রক্ষা করে, কিন্তু মেয়েটি গুরুতর আহত হয়।
এ নিয়ে এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ। এ ভয়ঙ্কর ঘটনাটির ওপর Gulf News ও Khaleej Times সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যম ফলাও করে খবর ছেপেছে।
খালিজ টাইমস জানিয়েছে, পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
আর Gulf Daily News তাদের আপডেট সংবাদে জানিয়েছে, মেয়েটির বাবার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বাঘওয়ালাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কাণ্ডজ্ঞানহীন এ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম সৌদি আরবের সাকাকা নামের একটি এলাকার মার্কেটে।
সৌদি আরবে পোষা বাঘ, সিংহ ও ভালুকের মতো হিংস্র প্রাণী নিয়ে জনাকীর্ণ স্থানে বেরিয়ে পড়ার বাতিক অনেকেরই আছে। আর এমন অঘটনও মাঝেমধ্যেই ঘটছে আরব দেশটিতে।
ভিডিও:
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ