রক্ষিতা বললে যে টাকা দেওয়া-নেওয়ার কথাটা সবার আগে মনে পড়ে, এ সম্পর্কে তেমন কিছু ছিল না। রক্ষিতা মানে এখানে এক নারীকে বুঝানো হয়েয়ছে, যে জানে তার প্রেমিক তাকে বিয়ে করবে না। তারপর সেই প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের সম্পর্ক গড়ে তুলতে একটুও দ্বিধাবোধ করেননি।
তবে শেষ পর্যন্ত জানা বিষয়টাও মেনে নিতে পারেননি ওই নারী। প্রেমিকের বিয়ের খবরে ভেঙে পড়েন ঘানার ওই নারী। চুপ করেও থাকেনি তিনি। কান্নাকাটি করে ভারাক্রান্তও করে তোলেনি নিজের জীবন। এরপর যা করেন, তা দেখে 'থ' হয়ে যায় উপস্থিত সকলে। বিয়ের দিন আসরে পৌঁছে যান একেবারে কনের সাজে।
ঘানার ওই খ্রিস্টান বিবাহে 'রক্ষিতা'র কনে সেজে হাজির হওয়া ঝড় তুলেছিল ভালমতোই! প্রথমে চমকে গিয়েছিলেন সবাই- দুজন কনের উপস্থিতি দেখে! তারপর তারা দেখলেন, বর হিড়হিড় করে বাইরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে দ্বিতীয় কনেকে। এবং, তিনি কিছুতেই যাবেন না!
শেষ পর্যন্ত মেয়েটি যায়নিও! বরং, এক গাল হেসে খুলে ফেলেন ঘোমটা। তারপর একটা মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তাদের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দিয়েছে সবাইকে। বলার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক খারাপ কথা। কোন কিছুই গায়ে না মেখে তিনি হাসতে হাসতে চলে যান বিয়ের আসর ছেড়ে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি-প্রতিদিন/২৭ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব