এবার পাকিস্তান সরকার এবং সেনার দিকে আঙুল তুলল পুশতুরা। পশতু সমাজকর্মী উমর দাউদ খাট্টাকের অভিযোগ, দেশটির সোয়াট, ওয়াজিরিস্তান থেকে পশতুদের হঠিয়ে সেখানে সন্ত্রাসবাদী তৈরির শিবির খুলতে চায় পাকিস্তান সরকার। নওয়াজ শরীফ সরকারের নির্দেশে এই এলাকায় ঘরবাড়ি ভেঙে লুঠপাট চালায় পাকিস্তানি সেনা। চলে ধর্ষণও। সেখানকার নারীদের তুলে নিয়ে গিয়ে লাহোরে যৌনদাসী বানানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। খবর আজকালের।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনারের সমীক্ষা বলছে, পাকিস্তানি সেনার অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ৫ লাখ পশতু আফগানিস্তানে পালিয়েছেন। খাট্টাকও এখন আফগানিস্তানেই রয়েছেন। সেখান থেকেই তার হুঁশিয়ারি, ‘পাকিস্তান পশতুদের ওপর অনেকদিন ধরে অত্যাচার চালিয়েছে। আর নয়। এবার পাক সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে সশস্ত্র পশতু লিবারেশন আর্মি গঠন করছি আমরা। এই বাহিনী পাক সন্ত্রাসের অবসান ঘটাবে।’
বাহিনীর পাশে থাকতে আন্তর্জাতিক মহলকেও আহ্বান জানিয়েছেন খাট্টাক। তার আরও অভিযোগ, পাক সরকার পশতুদের কণ্ঠরোধ করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। বেআইনিভাবে বেশ কিছু দুর্বৃত্ত দেশকেও পরমাণু অস্ত্র বিক্রি করে পাক সরকার।
উল্লেখ্য, এই পশতুরা হল পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম উপজাতি গোষ্ঠী। পাকিস্তানি সরকার এবং পাকিস্তানি তালেবানের ৭ বছরের যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে পশতুরাই।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব