শব্দই যে ভাব প্রকাশের শেষ কথা তা আরও একবার প্রমাণ পাওয়া গেল। তুরষ্কের কুস্কয় আর স্পেনের লা গোমেরা থেকে ভারতের চেরাপুঞ্জির কংথং। ভৌগলিক অবস্থানে তিনটি জায়গা পৃথক হলেও তাদের ভাব প্রকাশের মাধ্যম কিন্তু একটাই। টা হলো ‘পাখির ডাক’। আর সেটাই তাদের মিলিয়ে দিয়েছে এক জায়গায়।
মেঘালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ছোট্ট একটি গ্রাম কংথং। কিন্তু শুধুমাত্র কথা বলার মাধ্যমটাই গ্রামটিকে আলাদা করে দিয়েছে। মিলিয়ে দিয়েছে তুরষ্ক আর স্পেনের সঙ্গে। যদিও বিশিষ্ট ভাষাবিদদের দাবি, পাখির ডাকে কথা বলাটা একটি আমেরিকান ট্র্যাডিশন। আমেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একদল আদিবাসী প্রজাতির মধ্যে নাকি এই ভাবে কথা বলার প্রচলন রয়েছে।
তারা নাকি মনে করেন প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আত্মিক যোগ রয়েছে। তারা সকলেই গাছ, মাটি, পানি, বায়ু, পাখির অংশ। সেকারণেই পাখির ডাকই তাঁদের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হওয়া উচিত। কোনও কারণে সেই ধারনাটাই চেরাপুঞ্জির এই গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ধারণা মেনে নিয়েই তাঁরা পাখির ডাকে কথা বলাটা দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাসে পরিণত করেছেন।
এখানকার বাসিন্দারা এভাবে কথা বলাটাকেই নিজেদের পরিচিতি বলে মনে করেন। এটাই তাদের অস্তিত্বকে বিশেষ করে তুলেছে এই বিশ্বাস নিয়েই নিজেদের কথা বলার মাধ্যমকে ধরে রেখেছেন। ঠিক একই ভাবে তুরষ্কেরর কুস্কয় এবং স্পেনে লা গোমেরার বাসিন্দারা অনায়াসে তারা কথা বলে চলেন পাখির ডাকে। ছোট থেকে বড় সকলেই অভ্যস্ত এই মাধ্যমে। একে অপরের কুশল বিনিময় থেকে শুরু করে ফোন নম্বর আদান প্রদান সবই হয় পাখির ডাকের মাধ্যমে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর