তার শ্বশুরই পরিবারের ৬ জনকে গুলি করে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ওসমিংটন গণহত্যায় এই অভিযোগই করেছেন মৃত চার সন্তানের বাবা অ্যারন ককম্যান। তিনি বলেছেন, কেন তার শ্বশুর পিটার মাইলস নিজের স্ত্রী, মেয়ে এবং চার নাতি-নাতনিকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন তা তার কাছে স্পষ্ট নয়।
অ্যারনের আরও বলেছেন, তার সঙ্গে তার স্ত্রী ক্যাটরিনার বিচ্ছেদ এবং সন্তানদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তার শ্বশুর পিটার এবং শাশুড়ি সিন্ডার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবে এখন তার আর কারও প্রতি রাগ নেই। পিটারের মধ্যস্থতাতেই ফের আদালতের নিয়ম মেনে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন বলে তার উপর সন্তুষ্টও ছিলেন অ্যারন। কিন্তু সেই পিটারই ফের তাঁর সন্তানদের কেড়ে নিলেন বলেও অভিযোগ অ্যারনের।
সন্তানদের মৃত্যুতে বিধ্বস্ত অ্যারন পুলিশকে প্রশ্ন করেছিলেন, শেষ সময়ে তার ছোট ছেলে কায়ডেন মা ক্যাটরিনার পাশেই ছিল। কারণ, কায়ডেন মায়ের পাশে ঘুমোতে ভালোবাসত বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৫.১৫ মিনিট নাগাদ অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন পেয়ে ওসমিংটনের একটি বাড়ি থেকে ৬১ বছরের পিটার মাইলস, ৫৮ বছরের সিন্ডা, ৩৫ বছরের ক্যাটরিনা, ১৩ বছরের টায়ে, ১২ বছরের রায়লান, ১০ বছরের আয়রে এবং ৮ বছরের কায়ডেনের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া পুলিশ।
পরে পুলিশ কমিশনার ক্রিস ডসন বলেন, ৬ জনই গণহত্যার শিকার। এই ঘটনায় বাইরের কেউ জড়িত নয়। তবে পিটারই সবাইকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন কিনা সে ব্যাপারে খোলসা করেননি তিনি। বাড়ি থেকে পিটারের বৈধ লাইসেন্স সহ তিনটি বন্দুকও উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবারের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে ১৩৫ জন নাগরিক সম্বলিত ওসমিংটন।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর