মধ্য আমেরিকার দেশ কোস্টারিকা ২০১৪ সাল থেকেই প্রায় ৯৯ শতাংশ শক্তি ব্যবহার করে পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করে। গত দু'বছর ধরে সেই পরিমাণ পৌঁছেছে প্রায় ১০০ শতাংশে। এসবের মধ্যেই এই দেশ ২০১৭-র জুন থেকে প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশের পরিবেশমন্ত্রীর দাবি, ২০২১-এর মধ্যে এই দেশ বিশ্বের প্রথম প্লাস্টিকমুক্ত ও কার্বনমুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
কোস্টারিকা অন্যান্য মধ্য আমেরিকার দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে, তাদের প্রকৃতির প্রতি কদর সম্মানজনক! মধ্য আমেরিকার একমাত্র দেশ যেখানে বন এর আয়তন বাড়ছে!
এই দেশের মূল সম্পদ পরিবেশ। ১৯৮০ সাল থেকেই তাই সরকারের প্রচেষ্টা এই দেশের পরিবেশকে যে ভাবে হোক রক্ষা করার। গত চার বছর ধরে এই দেশে বিদ্যুত তৈরি হয় দেশের নদী, আগ্নেয়গিরি, হাওয়া এবং সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে।
এই দেশের নতুন লক্ষ্য হিসেবে গত বিশ্ব পরিবেশ দিবসেই তারা ঘোষণা করে, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে সম্পূর্ণ প্লাস্টিকবর্জিত দেশ হিসেবে প্রমাণ করার। এটিই এখন তাদের জাতীয় লক্ষ্য। এই লক্ষ্যপূরণের জন্য কোস্টারিকাকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘ।
গত বছরই কোস্টারিকার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কার্লোস আলভারাডো। দায়িত্ব নিয়েই তিনি বড় পদক্ষেপ করেছেন দেশকে কার্বনমুক্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করতে। প্রথমেই দেশ থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। গোটা দেশের ট্রান্সপোর্ট পরিষেবাকে নতুন ভাবে নির্মাণ করতে চান তিনি। ২০২১-কে করা হয়েছে কার্বনমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা। ২০২১-এ ২০০ বছরের স্বাধীনতা দিবসেই এই নতুন দেশকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চায় কোস্টারিকা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন