ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপির। গত মঙ্গলবার দুপুরে পাসকাগলা শহরের বাসিন্দা ব্রুক স্নো দেখেন, তার পোষা বিড়ালটা বেপাত্তা। গোটা বাড়ি খুঁজেও তার দেখা মিলছে না। অবশেষে বিড়ালের খোঁজে বাড়ির বাইরে পা রাখেন ব্রুক। শুরু হয় খোঁজ। সঙ্গে ছিলেন তার সৎ মেয়েও। কলম্বাস ড্রাইভের আশপাশের রাস্তা-ঝোপঝাড় ছাড়াও নর্দমাতেও চোখ ঘোরাতে থাকেন ব্রুক। যদি বিড়ালটা তাতে পড়ে গিয়ে থাকে।
এভাবেই পাড়ার একটি নর্দমার কাছে গিয়ে তার ভিতরে নজর দিতেই ব্রুকের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কেননা সেখানে থেকে উঁকি মারছে একটি কুমির। প্রথমটায় নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ব্রুক। থতমত খেয়ে যান। এরপর ফের নর্দমার ভিতর তাকান। পরের বারও একই দৃশ্য দেখেন তিনি। এরপর নিজের মোবাইল ফোন বের করে ওই কুমিরটার ছবি তুলতে শুরু করেন ব্রুক।
তবে শুধু ছবি তুলেই থেমে থাকেননি ব্রুক। খবরও দিয়েছেন অ্যানিম্যাল কন্ট্রোল কর্মকর্তাদের। ব্রুকের ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হন তারা। তবে কুমিরের আকৃতি দেখে তারা মিসিসিপির বন দফতরকে খবর দেন। মিসিসিপির ওয়াইল্ড লাইফ, ফিশারিজ অ্যান্ড পার্কস দফতরের কর্মীরা এ বিষয়ে খুবই দক্ষ। কোনও বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এসে পড়লে তাদের ধরে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান তারা।
নর্দমার ঝাঝরি খুলে তারাই একটা আঁকশি আর দড়ি দিয়ে কুমিরটাকে বাইরে বার করে আনার চেষ্টা শুরু করেন। তিন জন কর্মী মিলে কুমিরটাকে নর্দমা থেকে টেনে তুলতে শুরু করেন। এক জন আঁকশি দিয়ে কুমিরটিকে নর্দমা থেকে সামান্য টেনে উপরে তোলেন। দেখা যায়, তা প্রায় সাত ফুট লম্বা। উপরে টেনে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই অন্য জন কুমিরের বিশাল হা-করা মুখে একটি দড়ির ফাঁস পরিয়ে দেন। আঁকশি দিয়েই তাকে টেনে বার করা হয় নর্দমার বাইরে। এরপর নাছোড়বান্দা কুমিরের পিঠে চেপে বসেন এক জন। এবার কুমিরের মুখে টেপ বেঁধে দেন অন্য জন। শেষমেশ তাকে ওই এলাকা থেকে নিয়ে গিয়ে একটি জলাভূমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গোটা ঘটনাটাই মঙ্গলবার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ব্রুকের এক প্রতিবেশী মিশেল এম স্মিথ। তাতে আপাতত শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই মিশেলের ওই পোস্টটি শেয়ার করেছেন ১,১৬৪ জন। আর পোস্টটি দেখেছেন ৭৭,৮২৩ জন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর