শৌচকর্ম করতে কমোডের উপর বসেছিলেন। খেয়াল করেননি যে, তার ভিতরে আগে থেকেই ঘাপটি মেরে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে রয়েছে পাঁচ ফুট লম্বা একটি কার্পেট পাইথন!
বাথরুমে ঢোকার আগে আলো জ্বালাননি। ফলে সাপটি তাঁর চোখেও পড়েনি বলে জানান বছর ৫৯-এর হেলেন রিচার্ডস। কমোডে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের বাসিন্দা হেলেনের মনে হয়, কিছু একটা কামড়াল তাঁকে। লাফিয়ে উঠে দাঁড়ান তিনি। তখনও তিনি বুঝতে পারেননি যে তাঁকে আসলে সাপে কামড়েছে! তবে সাপটি বিষহীন হওয়ায় হেলেনের কোনও ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘লাফিয়ে উঠে দেখি কালো কচ্ছপের মতো একটা কিছু কমোডের ভিতরে আস্তে আস্তে ঢুকে যাচ্ছে। প্রথম দর্শনে সেটিকে কচ্ছপই মনে হয়েছিল আমার।’’
পরে বিষয়টি পরিষ্কার হতে লোগান অ্যান্ড গোল্ড নামে ব্রিসবেনের একটি ‘স্নেক ক্যাচার্স’ সংগঠনের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করেন তিনি। খবর পাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তারা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে হেলেনের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে তারা।
এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হেলেন কমোডের উপর বসে পড়ায় সাপটি বেরোনোর পথ পাচ্ছিল না। তাই এক প্রকার আত্মরক্ষার চেষ্টাতেই তাঁকে কামড়ে দেয় সে। তবে হেলেন যে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ফ্লাশ করেননি তার জন্য তাঁর প্রশংসা করে ওই সংগঠন।
এ রকম কমোডের মধ্যে সাপ পাওয়ার ঘটনা সচরাচর না ঘটলেও কয়েক দিন আগে ব্রিসবেনেই একটি বাড়ির শৌচালয়ে সাপ ধরা পড়েছিল বলে জানায় ওই সংগঠন। এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে প্রথমেই ভয় না পাওয়ার উপদেশ দিয়েছে তারা। কমোডের মধ্যে ধরা পড়লে ফ্লাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছে ওই সংগঠন। তাতে সাপটি পাইপের আরও ভিতরে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করবে। বরং এই সময় কমোডের ঢাকনা বন্ধ রেখে সাপটিকে সুরক্ষিত অনুভব করানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল