দামি সোনার হার, কিংবা কোনও আসবাব অথবা রান্নার রেসিপিও হতে পারে বংশানুক্রমিক ভাবে পাওয়া পরিবারের প্রতীক। কিন্তু কখনও রান্না করা কোনও খাবার কেউ বংশানুক্রমিক ভাবে সংরক্ষণ করে রেখেছেন বলে শুনেছেন? নিশ্চয়ই না। এবারে শুনুন।
১৮৭৮ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে থাকতেন ফিডেলিয়া ফোর্ড নামের এক নারী। তার পরিবারে একটি প্রথা ছিল। বড়দিনে কেক বানালে তা খাওয়া হবে বানানোর এক বছর পর। তিনি সেই বছর একটি ফ্রুটকেক বানিয়েছিলেন। তিনি মারা গেছেন ৬৫ বছর বয়সে। কিন্তু তার বানানো কেকটি এখনও কেউ খাননি।
এই বছর সেই কেকের বয়স হবে ১৪১ বছর। এখনও সেই কেক ঐ বাড়ির রান্নাঘরের একটি তাকে কাঁচের থালায় সযত্নে রাখা আছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত কেকটি ফিডেলিয়া ফোর্ডের নাতির ছেলে মর্গ্যান ফোর্ডের দায়িত্বে ছিল। অর্থাৎ টানা ৯৩ বছর।
২০১৩ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার মেয়ে জুলি রুট্টিন্গর তত্ত্বাবধায়ক হলেন বিখ্যাত ফ্রুটকেকটির। জুলি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার বাবা খুব গর্বিত ছিলেন বংশানুক্রমিক ভাবে পাওয়া এই ফ্রুটকেকটি নিয়ে। পরিবারের কোনও অনুষ্ঠানে বা চার্চে তিনি সবাইকে দেখাতেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ