শিশু জন্মানোর পরে যা কর্তব্য তাই করছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু যা স্বাভাবি ভাবে হওয়ার তা হল না। পিঠে ডাক্তারের চাপড় খেয়ে কেঁদে ওঠার বদলে রেগে আগুন যেন নবজাতক। আর সেই চোখ দেখে রীতিমতো অবাক চিকিৎসকরা।
ব্রাজিলের রিও দে জেনেরিওর এই ছবি এখন ভাইরলা। ছবিতে দেখা যাচ্চে, নবজাতককে কাঁদানোর জন্য ডাক্তার পিঠে আঞাত করছেন, আর তাতে রেগে গিয়ে তাকেই চোখগরম করছে সদ্যোজাত। রিও দে জেনেরিওর এক হাসপাতালে ১৩ ফেব্রুয়ারি এই কন্যা জন্মায়। জন্মের পরে কিছুতেই কঁদছিল না সে। তখনই তাকে কাঁদাতে পিঠে চড় মারতে শুরু করেন ডাক্তার। আর তখনই কাঁদার বদলে রেগে ওঠে বাচ্চাটি। কটমট করে তাকাতে থাকে ডাক্তারের দিকে।
নবজাতকের এই অভিব্যক্তি দেখে ডাক্তাররা রেগেছিলেন না হেসেছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে রাগ দেখিয়ে রাতারাতি ফেমাস সেই সদ্যোজাত কন্যা! চিকিৎসকার বলছেন, অনেক সময়েই জন্মের সঙ্গে সঙ্গে কাঁদে না নবজাতক। তখন তাদের কাঁদাতে পিঠে চড় মারার পদ্ধতি অবলম্বন কান্নার বদলে কেন ভয়ানক রেগে ওঠে সে? অনেকে ঠাট্টা করে বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের সাত দিন আগে সিজার করার জন্যই কি এত রাগ? উল্লেখ্য, স্বাভাবিক ভাবে শিশুটির ভূমিষ্ঠ হওয়ার কথা ছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। সাত দিন আগেই সিজার করা হয়।
জানা গেছে, শিশুটির মা ডায়ান ডি জিসেস বারবোসা একেবারে জন্ম মুহূর্ত থেকে নবজাতকের ছবি তুলে রাখতে একজন ফটোগ্রাফারের ভাড়া করেছিলেন। তিনিই ছবিগুলো ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফার জানান, এই ছবি তোলার কিছু পরেই কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। হাসি ফোটে ডাক্তারদের মুখে। সূত্র : দ্য ওয়াল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক