ছোট্ট বাথরুমের মধ্যে চিতাবাঘের সঙ্গে আটকে রইল নেড়ি কুকুর। তাও আবারও প্রায় সাত ঘণ্টা। কথায় বলে, একটা ছবি হাজার কথার সমান। ভাইরাল হওয়া এই ছবি যেন সেই কথারই প্রমাণ। ঘটনা ভারতের কর্ণাটকের এক গ্রামের।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার কুকুরটিকে তাড়া করে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়া চিতাবাঘটি। তাড়া খেয়ে পালাতে পালাতে ওই বাথরুমে এসে লুকোয় কুকুরটি। কুকুরটিকে ধাওয়া করে বাথরুমে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটিও। দুটি প্রাণীকে ভেতরে ঢুকতে দেখে ভয় পেয়ে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেন এক নারী। এর ফলে একই বাথরুমে বন্দী হয়ে যায় কুকুর ও বাঘটি। এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওইভাবেই ছিল কুকুর ও চিতাবাঘটি।
বাথরুমের অ্যাসবেস্টস খোলার পর ছবিটি তুলেন কোনও এক ফোটোগ্রাফার। বন বিভাগের অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান শেয়ার করেন সেটি। স্বাভাবিকভাবেই তা ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনার একটি ভিডিও।
সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, ওই দীর্ঘ সময়ে কুকুরটিকে রীতিমতো ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। বলা যায়, প্রহর গুণতে হয়েছে। তবে কুকুরটিকে অক্ষত অবস্থাতেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা কুকুরটিকে বল্লু বলে ডাকে। কুকুরটি বাথরুমে আটকে পড়েছে, জানার পর থেকেই সকলের আশঙ্কা ছিল, আর ফেরানো যাবে না পাড়ার এই পোষ্যকে। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন তারা। সেই সঙ্গে অবাকও হয়েছেন, কেন চিতাবাঘটি কুকুরটিকে নাগালের মধ্যে পেয়ে আক্রমণ করার চেষ্টাও করেনি!
বন বিভাগের এক অফিসার রাঘবেন্দ্রর মতে, চিতাবাঘ লুকিয়ে আক্রমণ করতে পছন্দ করলেও এক্ষেত্রে সেটি ভয় পাচ্ছিল যদি কুকুরটি আত্মরক্ষার্থে পালটা আক্রমণ করে! সেক্ষেত্রে সে সরে যাওয়ার কোনও জায়গা পাবে না। কেননা বাথরুমের স্বল্প পরিসরে তার পক্ষে সরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আর ঝুঁকি নেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ