ভারতের বিহার রাজ্যে এক যুবককে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেপুরার একটি সরকারি স্কুলে সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন গৌতম নামের ওই যুবক। স্কুলে যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় কয়েকজন জোর করে সেখানে ঢুকে পড়েন। তারপর তাকে মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যান।
গৌতমের অভিযোগ, তাকে অপহরণ করে রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে বিয়ে না করলে খারাপ পরিণতি হবে বলে শাসানো হয়। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদে কাজ হয়নি। তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাজেশ রায়ের মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়।
স্কুল থেকে গৌতমের অপহরণের খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গৌতমের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে নারায়ণপুরের ডেরপুরা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তার নববিবাহিত স্ত্রীও ছিলেন সেখানে।
এর আগে ২০১৯ সালে সরকারি চাকরিজীবী এক যুবককে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলা আদালতে ওঠে। আদালত সেই বিয়েকে বেআইনি বলে রায় দেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল