বসুন্ধরা শুভসংঘের কাজগুলো দেখে আমি অভিভূত হই। দীর্ঘ বছর ধরে দেশের অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ব্যবসার পাশাপাশি দেশের অসহায় দরিদ্র মানুষকে বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে সহায়তা করে তারা।
এটি আমাদের দেশে বিরল ঘটনা। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো এলাকায় সহায়তার হাত বাড়াচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে তারা। বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পরিচালিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর আগস্তি এলাকায় ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল’ চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করবে।
আগেও আমি রাঙ্গাবালী উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল দেখেছি। শুভসংঘের এই উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাদের এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে প্রতিটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে। স্কুলটি যাতে আরো প্রসারিত হয় সে ব্যাপারে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখব।
বসুন্ধরা শুভসংঘের স্কুলগুলো তুলনামূলক সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় স্থাপিত হচ্ছে। চার আগস্তি এলাকাটি তুলনামূলকভাবে অনেক দুর্গম।
গলাচিপার প্রত্যন্ত এই চরে কোনো স্কুল ছিল না। এখন বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল হয়েছে। গলাচিপাসহ পটুয়াখালীর প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্ত দুর্গম চরের মানুষের কথা ভেবেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।
কতটা মানবিক হলে দুর্গম এলাকায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি এলাকার উন্নয়ন করতে হলে আগে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তা না হলে দেশের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। সুবিধাবঞ্চিতদেরও শিক্ষার আলোতে আলোকিত করতে হবে। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সেই কাজটি করছে শুভসংঘ। অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সেলাই মেশিন প্রদান, গৃহহীনদের ঘর, আর্থিক অসচ্ছলদের আয়ের জন্য দোকান, ছাগল, হাঁস, মুরগি কিনে দেওয়ার মতো প্রশংসনীয় কাজ করছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আগস্টে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নানা সহায়তার মাধ্যমেও মাইলফলক সৃষ্টি করেছে তারা। আশা করি, বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের এলাকায় তাদের সহায়তার হাত অকৃপণ রাখবে। আমি শুভসংঘের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম।
লেখক: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গলাচিপা, পটুয়াখালী