কুমিল্লার লালমাই উপজেলার নারী শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান আল ইসরা মাদ্রাসায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও হামদ নাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর বাজারস্থ (কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন) আল ইসরা মাদ্রাসা হল রুমে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অর্ধশতাধিক হিফজ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মাদ্রাসাটির হিফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ ইসমাইল হোসেন শামীম।
কোরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন মারিয়াম মাহদী, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন উম্মে হাফসা ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন মারিয়াম আক্তার। হামদ-নাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন জান্নাতুল মাওয়া, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন তাসফিয়া বিথী ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন আনাস বাশার উম্মা। অনুষ্ঠানের শেষে বিজয়ীদের পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীদের বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সান্ত্বনা পুরষ্কার দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন দৈনিক কালেরকণ্ঠের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম, বসুন্ধরা শুভসংঘ, লালমাই উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম মুন্না, সহ-সভাপতি নাফিউ জামান, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইয়াকুব আলী নিমেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক রিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মারুপ সিরাজী ও আল ইসরা মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মুদাচ্ছির বিল্লাহ।
আল ইসরা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাছুম বিল্লাহ মুহাজির বলেন, রমজান মাসে কোরআনের পাখিদের নিয়ে কোরআন তেলোয়াত ও হামদ নাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ ও বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আগামীদিনে বসুন্ধরা শুভসংঘের সকল শুভ কাজে পাশে থাকবো।
বসুন্ধরা শুভসংঘ, লালমাই উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও শিক্ষানুরাগী মো. কামাল হোসেন বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রতিবছর জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এ বছর প্রথমবারের মতো সংগঠনটি লালমাই উপজেলার একটি মাদ্রাসায় কোরআন তেলোয়াত ও হামদ-নাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এর জন্য আমি লালমাইবাসীর পক্ষ থেকে বসুন্ধরা শুভ সংঘের পরিচালকসহ দায়িত্বশীলদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল